'আর চুপ থাকতে পারছি না, আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ চাই'

'আর চুপ থাকতে পারছি না, আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ চাই'

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক:

মিয়ানমারের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর দমন-নির্যাতন দেখে আর চুপ থাকতে পারছেন না জানিয়ে সহিংসতা বন্ধে দ্রুত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন  শান্তিতে সর্বকনিষ্ঠ নোবেলজয়ী মানবাধিকার কর্মী মালালা ইউসুফজাই। এ ছাড়া রোহিঙ্গাদের পক্ষে কথা বলার জন্য আরেক নোবেলজয়ী মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সুচির প্রতি দাবি জানিয়েছেন তিনি।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে মালালা বলেন, লাখ লাখ মানুষ উদ্বাস্তু হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় আমরা আর চুপ থাকতে পারি না।

পাকিস্তানের মানবাধিকার কর্মী মালালা যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড থেকে বিবিসির সঙ্গে নানা প্রসঙ্গে আলাপকালে রোহিঙ্গাদের রক্ষায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে শক্ত অবস্থান নেওয়ার আবেদন জানান।

রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব না দিয়ে নির্যাতন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একটি দেশে বসবাসের অধিকার ও নাগরিকত্ব দিতে অস্বীকৃতি জানানোর পর কী ঘটতে পারে, তা আমরা এক সেকেন্ডের জন্যও চিন্তা করতে পারব না। রোহিঙ্গাদের সঙ্কট মানবাধিকার ইস্যু হিসেবে বিবেচিত হওয়া উচিত। সরকারগুলোর এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দেখানো উচিত।

মানুষ বাস্তুচ্যুত হচ্ছে, শিকার হচ্ছে সহিংসতার।

রোহিঙ্গাদের ওপর সহিংসতার কারণে শিশুরা কী পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছে তা তুলে ধরে মালালা বলেন, শিশুরা শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, তারা মৌলিক অধিকারগুলোই পাচ্ছে না। সন্ত্রাস ও আশপাশে সহিংসতা বিদ্যমান এমন পরিস্থিতিতে বেঁচে থাকা অত্যন্ত কষ্টকর।
 
এ পরিস্থিতির অবসানের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমাদের রোহিঙ্গা নির্যাতনের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে এবং এ নিয়ে সোচ্চার হতে হবে। আমি আশা করি অং সান সুচিও এ ইস্যুতে একইভাবে সাড়া দেবেন।

উল্লেখ্য, গত ২৫ আগস্ট ভোররাত থেকে রাখাইনে সীমান্তরক্ষী পুলিশের সঙ্গে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) সদস্যদের সংঘাত শুরু হয়। এতে শতাধিক রোহিঙ্গা নিহত হন। এর মধ্যে ১২ জন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ও বাকিরা আনসার সদস্য ছিল।

এ ঘটনার পর মিয়ানমারের সরকারি বাহিনী রাখাইনে বিতাড়ন  অভিযান শুরু করে। তারা রোহিঙ্গাদের গ্রামগুলোতে হানা দিয়ে সাধারণ মানুষকে লক্ষ্য করে নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করছে এবং বাড়িঘর পুড়িয়ে দিচ্ছে। প্রাণভয়ে রোহিঙ্গারা পালিয়ে আসছে বাংলাদেশে। গত ১৩ দিনে প্রায় এক লাখ ৬৪ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।

সম্পর্কিত খবর