রোহিঙ্গাদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে ফেসবুককে: অ্যামনেস্টি

সংগৃহীত ছবি

রোহিঙ্গাদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে ফেসবুককে: অ্যামনেস্টি

অনলাইন ডেস্ক

অনলাইনে ঘৃণামূলক বক্তব্য ও বিদ্বেষমূলক প্রচারণার কারণে মিয়ানমারে নিজেদের বাড়িঘর থেকে উচ্ছেদে বাধ্য হয়েছে লাখ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী। এসব রোহিঙ্গা শরণার্থীদের উচ্ছেদে ব্যাপক ভূমিকা ছিল ফেসবুকের। সে কারণে ফেসবুককে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ক্ষতিপূরণ দিতে বলেছে, মানবাধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।

বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে সংস্থাটি জানায়, অনলাইনে ব্যাপক ঘৃণামূলক বক্তব্য ও প্রচারণার কারণে মিয়ানমারে রোহিঙ্গারা তাদের বাড়িঘর থেকে পালাতে বাধ্য হয়েছেন এবং এ কারণে লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে ফেসবুককে।

গত ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর মিয়ানমার থেকে ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। প্রতিবেশী বাংলাদেশে পালিয়ে আসার পর থেকে রোহিঙ্গারা সেখানে বিস্তীর্ণ শরণার্থী শিবিরে বসবাস করছে। এসব রোহিঙ্গারা প্রধানত মুসলিম সংখ্যালঘু। ২০১৭ সালে মিয়ানমারের সামরিক শাসকদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছিল তারা।

অ্যামনেস্টি তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, ‘অনেক রোহিঙ্গা ফেসবুকের ‘রিপোর্ট’ ফাংশনের মাধ্যমে রোহিঙ্গা বিরোধী বিষয়বস্তু সম্পর্কে রিপোর্ট করার চেষ্টা করেছিল’ কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয়নি’। এতে করে সেসব ঘৃণ্য কন্টেন্ট এবং বিদ্বেষমূলক প্রচারণা মিয়ানমারজুড়ে আরও শ্রোতাদের কাছে ছড়িয়ে পড়তে থাকে। ’

এসব অভিযোগে রোহিঙ্গা প্রতিনিধিরা ইতোমধ্যেই ফেসবুকের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা দায়ের করেছেন। ফেসবুকের বিরুদ্ধে দায়িত্বশীল ব্যবসায়িক আচরণের নির্দেশনা অনুসারে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের পাশাপাশি উন্নত অর্থনীতির ওইসিডি গ্রুপে এই মামলা দায়ের করা হয়। ক্যালিফোর্নিয়ায় দায়ের করা মামলায় ফেসবুকের হোম স্টেট এবং এর মূল কোম্পানি মেটা’র কাছে ১৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ চায় শরণার্থীরা।

অ্যামনেস্টি বলেছে, ‘আজ পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের ক্ষতিপূরণ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছে মেটা। এমনকি এই সম্প্রদায়ের বিনয়ী এই অনুরোধগুলো কোম্পানির বিশাল (আর্থিক) লাভের চেয়ে খুব অল্প। আর এটি এটাই বুঝায় ফেসবুক এমন একটি প্রতিষ্ঠান যা মানবাধিকারের প্রভাবের বাস্তবতা থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন। ’

এছাড়া ফেসবুকে প্রকাশিত পোস্টগুলো যাচাই করা এবং যেগুলো অসত্য তা অপসারণ করাসহ মানবাধিকারবিরোধী প্ররোচনার বিষয়ে তদারকি বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে অ্যামনেস্টি।

news24bd.tv/আমিরুল