রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে ব্যয় বাড়ার শঙ্কা

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প

পিছিয়ে যাচ্ছে সঞ্চালন লাইন নির্মাণকাজ

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে ব্যয় বাড়ার শঙ্কা

ফেরদৌস আরেফিন

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সঞ্চালন লাইনের নির্মাণ কাজ পিছিয়ে যাচ্ছে। সংসদীয় কমিটিতে দেওয়া প্রতিবেদনে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি জানিয়েছে, নির্ধারিত সময়ের চেয়ে এক বছর পর শেষ হবে এই কাজ। তারা বলছে, ভারতীয় ঋণের টাকা সময়মতো ছাড় না হওয়ায়, এমনটি ঘটেছে। একজন বিশেষজ্ঞ নিউজ টোয়েন্টি ফোরকে বলেছেন, এর ফলে ব্যয় বাড়ার শঙ্কা আছে এই প্রকল্পে।

করোনা মহামারি কিংবা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যেও নির্মাণ কাজ অব্যাহত আছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের। কেন্দ্রটির দুটি ইউনিটেই মূলযন্ত্র রিয়াক্টর প্রেসার ভেসেলও স্থাপন করা শেষ হয়েছে। পরিকল্পনা মতো আগামী বছরের শুরুর দিকে শেষ হবে একটি ইউনিটের কাজ। তবে এই কাজের সঙ্গে তাল মিলিয়ে হচ্ছে না সঞ্চালন লাইন।

 

সঞ্চালন লাইন নির্মাণকারী সরকারি প্রতিষ্ঠান-পিজিসিবি’র প্রতিবেদনও বলছে তাই। সংস্থাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিকে জানিয়েছে, নানা কারণে তাদের কাজ শুরু করতে ২৪০ দিন নষ্ট হয়েছে। এই সঞ্চালন লাইন নির্মাণে ঋণ দিচ্ছে ভারতীয় এক্সিম ব্যাংক।  

পিজিসিবি জানায়, এক্সিম ব্যাংক সময়মতো অর্থ ছাড় না করায় এমনটা ঘটেছে। তাই প্রকল্পের মেয়াদ একবছর বাড়িয়ে কাজ শেষ করার নতুন টার্গেট ২০২৩ সালের ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে নিউক্লিয়ার বিশেষজ্ঞ মো. শফিকুল ইসলাম  বলেন, ‘এতে রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের ঝুঁকি বাড়বে, কারণ আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা- আইএইএ’র গাইড লাইন অনুসরণ করে যেকোনো পারমাণবিক প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। সঞ্চালন লাইন সম্পন্ন হতে যদি দেরি হয়, তবে পুরো প্রকল্প নিয়েই আপত্তি তুলতে পারে আইএইএ। ’  

বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের সঙ্গে তাল মিলিয়ে করতে হয় সঞ্চালন লাইন। সময়মতো এর কাজ শেষ না হলে, কেন্দ্র তৈরি করেও কোনো কাজে আসবে না। অলস পড়ে থাকবে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা।  

এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ সঞ্চালন লাইনের নির্মাণ কাজ পিছিয়ে গেলে ব্যয় বেড়ে যাবে। উৎপাদন খরচও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। ’

news24bd.tv/ইস্রাফিল