সামরিক বাজেট বাড়াবে ফ্রান্স 

সংগৃহীত ছবি

সামরিক বাজেট বাড়াবে ফ্রান্স 

অনলাইন ডেস্ক

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ সামরিক বাজেট বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আগামী বছরগুলোতে এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি সামরিক ব্যয় বাড়ানো হবে। ’ একইসঙ্গে ‘শতাব্দীর বিপদ’ মোকাবেলায় ফরাসি সেনাবাহিনীকে নতুন করে গঠন করার উচ্চাকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেছেন তিনি। খবর আল-জাজিরা।

শুক্রবার মাখোঁ বলেছেন, ‘২০২৪ থেকে ২০৩০ সাল পর্যন্ত আমরা যে বাজেট নেব,  তা যুদ্ধের সঙ্গে সেনাবাহিনীকে খাপ খাইয়ে নিতে সহায়তা করবে। ১১ মাস আগে শুরু হওয়া ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ আমাদের নতুন এক পরিস্থিতিতে নিয়ে গেছে। এ জন্যই আমাদের ভিন্ন পথে যেতে হচ্ছে। ’

‘আমাদের স্বাধীনতা, আমাদের নিরাপত্তা, আমাদের সমৃদ্ধি, বিশ্বে আমাদের স্থান নিশ্চিত করার জন্যই সামরিক ব্যয় বাড়ানো হবে,’ যোগ করেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট।

আল-জাজিরা বলছে, ২০২৪ থেকে ২০৩০ সাল পর্যন্ত সামরিক ব্যয়ে ফ্রান্সের বাজেট হবে ৪৪৭ বিলিয়ন ডলার। ২০১৯ থেকে ২০২৫ পর্যন্ত এ ব্যয় ছিল ৩২০ বিলিয়ন। এর অর্থ দাঁড়ায় সামরিক ব্যয় দ্বিগুণ করছেন মাখোঁ।

দক্ষিণ-পশ্চিম ফ্রান্সের মন্ট-ডি-মারসান বিমান ঘাঁটিতে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘বর্তমান যুদ্ধ পরিস্থিতি বদলে যাচ্ছে। শতাব্দীর বিপদের জন্য আমাদের সেনাবাহিনী প্রস্তুত আছে ও থাকবে। সামনের দিকে আমরা একটি যুদ্ধের মুখোমুখি হতে পারি। ’

সামরিক বাজেটের নতুন অর্থ পরমাণু অস্ত্র প্রতিরোধে ব্যবহার করা হবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন মাখোঁ। তিনি বলেছেন, ‘পারমাণবিক প্রতিরোধ এমন একটি উপাদান যা ফ্রান্সকে ইউরোপের অন্যান্য দেশ থেকে আলাদা করবে। এখন জোরালো সংঘাতের আশঙ্কা মথায় রেখে কর্মসূচি নিতে হবে, যা ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের পর আরও জরুরি হয়ে পড়েছে। ’

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অস্ত্র রপ্তানিকারক দেশ। এমনকি ইউরোপের মধ্যে পরমাণু শক্তিধর দেশ এটি। তবে যুদ্ধের পর থেকে এখন পর্যন্ত কিয়েভকে অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করেনি তারা। এ নিয়ে পশ্চিমাদের সমালোচনার মুখে পড়েছেন মাখোঁ। শুক্রবারও ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তার কোনো ঘোষণা দেননি তিনি।

এদিকে, সাইবার হামলা মোকাবেলায় ও সামরিক গোয়েন্দাদের জন্য বাজেট বাড়ানোর কথা জানিয়েছে মাখোঁ। তিনি বলেছেন, ‘সাইবার হামলা মোকাবেলায় আমাদের সক্ষমতা বাড়ানো হবে। একই সঙ্গে সামরিক গোয়েন্দাদের জন্য ৬০ শতাংশ বাজেট বাড়ানো হবে। ’

আল-জাজিরা বলছে, গত বছর ফ্রান্সের সামরিক গোয়েন্দা প্রধান পদত্যাগ করেছিলেন। ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পূর্বাভাস দিতে ব্যর্থ হওয়ায় তিনি এমনটি করেছিলেন।

news24bd.tv/মামুন