ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে কিশোরীর লাশ উত্তোলন

ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে কিশোরীর লাশ উত্তোলন

নোয়াখালী প্রতিনিধি

নোয়াখালীর সুবর্ণচরের চরক্লার্ক ইউনিয়নের পশ্চিম উরিরচর গ্রাম থেকে রাবেয়া বেগম (১৮) নামের এক কিশোরীর লাশ দাফনের ৫৪ দিন পর উত্তোলন করেছে পুলিশ।

রাবেয়াকে হত্যার অভিযোগে তার পরিবারের পক্ষ থেকে আদালতে মামলা দায়েরের পর মৃতদেহটি উত্তোলন করে পুলিশ। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অশোক বিক্রম চাকমা ও চরজব্বার থানা পুলিশের উপস্থিতিতে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে লাশটি উত্তোলন করা হয়।

এর আগে, গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর নিহতের ভাই হাদিছ বাদি হয়ে প্রধান অভিযুক্ত আবদুল মন্নানসহ ৩ জনকে আসামি করে আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, বাড়িতে একা থাকার সুবাদে প্রতিবেশী আবদুল মন্নান বিভিন্নভাবে রাবেয়াকে উত্যক্ত করত। এরই মধ্যে সে রাবেয়ার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে।

পরবর্তীতে বিভিন্ন সময় পরিবারের লোকজনের অজান্তে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে রাবেয়ার সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। শারীরিক সম্পর্কের পর আবদুল মন্নানকে বিয়ের জন্য চাপ সৃষ্টি করলে সে টালবাহানা শুরু করে এবং রাবেয়াকে বিয়ে করার বিষয়ে অনীহা প্রকাশ করে।

গত বছরের ২০২২ সালের ৩০ নভেম্বর বিকেলে আবদুল মন্নানের সহযোগী আবুল কালাম ও ইমাম উদ্দিন বাবর বাড়িতে গিয়ে রাবেয়াকে হুমকি ধমকি দেয় এবং আবদুল মন্নানকে বিয়ে করার বিষয়টি ভুলে যেতে বলে। এসব বিষয়ে কাউকে জানালে তাকে হত্যা করা হবে বলেও হুমকি দিয়ে আসে। এ ঘটনায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে ওইরাতে বসত ঘরে বিষ পানে আত্মহত্যা করে রাবেয়া।

আসামিদের অব্যাহত হুমকিতে এবং তাদের দারা প্রভাবিত হয়ে সে আত্মহত্যা করেছে অভিযোগ এনে এবং সুষ্ঠু বিচার পাওয়ার আশায় নিহতের ভাই বাদি হয়ে নোয়াখালী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে একটি মামলা দায়ের
করেন।

চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেব প্রিয় দাশ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আদালতের নির্দেশে কিশোরীর লাশ উত্তোলন করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

news24bd.tv/FA

এই রকম আরও টপিক