রাত পোহালেই ঈদ, যাত্রী শূন্য দৌলতদিয়া ঘাট

রাত পোহালেই ঈদ, যাত্রী শূন্য দৌলতদিয়া ঘাট

রাজবাড়ী প্রতিনিধি

রাত পোহালেই মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। এ উৎসবকে ঘিরে দেশের অন্যতম নগরী ঢাকা থেকে পরিবার পরিজনের সাথে ঈদ করতে বাড়ি ফেরে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।

তবে এই উৎসবকে ঘিরে বাড়ি ফেরার পথে অন্যতম দুর্ভোগের নাম ছিল দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ফেরিঘাট। এই ঘাটে ঈদ আসলেই যাত্রী যানবাহনের ভোগান্তির শেষ থাকতো না।

গত বছর পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের প্রবেশদ্বার খ্যাত রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটে যাত্রী এবং যানবাহনের চাপ কমেছে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ।

শুক্রবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া প্রান্তে গিয়ে দেখা যায় নেই যাত্রীর চাপ, বেকার বসে আছে থ্রি হুইলার মহেন্দ্র, বাসসহ অন্যান্য যানবাহন। মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া থেকে ছেড়ে আসা ফেরিতে ও নেই তেমন গাড়ি ও যাত্রী। লঞ্চ ঘাটের ও একই চিত্র।

প্রচণ্ড গরম থাকলেও ভোগান্তি ছাড়াই ঘাট পার হওয়া যাত্রীদের চোখেমুখে ছিল আনন্দের ছাপ। আর ঘাটে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাজ করেছে নৌ পুলিশ।

সেলিম রেজা নামের এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, কালকে ঈদ অথচ দেশের অন্যতম নৌরুটে নেই যাত্রী। এই রুটে পদ্মা সেতু চালু হওয়ার আগে বছরের প্রতিটি সময় যানজট লেগেই থাকতো। আর ঈদ এলে তো কথাই নেই। পরিবার পরিজনের সাথে ঈদের দুইদিন কাটাতে কতই না কষ্ট করতো মানুষ।

থ্রি হুইলার মাহেন্দ্রর মালিক মুক্তার বলেন, আমি দীর্ঘদিন যাবত এই রুটে মাহেন্দ্র চালাই। ঈদের আগে দিন সারারাত যাত্রী থাকতো। অথচ এখন দুপুর, বেকার বসে আছি। আপনিই দেখেন এখানে মোট ৫০ জনও যাত্রী নাই। বেশিরভাগ মানুষ পরিবহনে বাড়ি যাচ্ছে। কারণ এখন ফেরির জন্য পরিবহনের অপেক্ষা করতে হয় না। আর তাতেই যাত্রীরা পরিবহনে বাড়ি ফিরছে। আমার যারা লোকাল যাত্রী টানতাম তাদের যাত্রী শূন্যতাই ভুগতে হচ্ছে।

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক মোহাম্মাদ সালাউদ্দিন বলেন, এবারের ঈদে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার নির্বিঘ্ন করতে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে ২০টি ফেরি ও ২২টি লঞ্চ চলাচল করছে। ঘাটকে যানজট মুক্ত রাখতে ঈদের আগে তিনদিন ও পরের তিনদিনসহ মোট সাতদিন পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার বন্ধ রয়েছে। তবে জরুরি পচনশীল মালামালবাহী ট্রাক পারাপার অব্যাহত থাকবে।

news24bd.tv/FA

এই রকম আরও টপিক