বাগেরহাটে চোখের আলো ফিরে পেলেন ৩৫৪ দরিদ্র মানুষ

বাগেরহাটে চোখের আলো ফিরে পেলেন ৩৫৪ দরিদ্র মানুষ

বাগেরহাট প্রতিনিধি

বাগেরহাটের ৩৫৪ জন দরিদ্র মানুষ ফিরে পেলেন চোখের আলো। ঢাকা মেগা সিটি লায়ন্স ক্লাবের সভাপতি ড. শেখ ফরিদুল ইসলামের সম্পূর্ণ আর্থিক সহায়তায় এসব মানুষকে ঢাকায় এনে দৃষ্টি চক্ষু হাসপাতালে চোখের ছানি অপারেশনসহ লেন্স সংযোজন করা হয়। অপারেশনসহ লেন্স সংযোজনের পর চোখের আলো ফিরে পেয়ে এসব দরিদ্র মানুষ বুধবার বিকেলে ঢাকা থেকে বাগেরহাটে বাড়িতে এসেছে।

অপারেশনসহ লেন্স সংযোজনের পর চোখের আলো ফিরে পেয়ে বাড়িতে ফিরে আসা বাগেরহাট সদরের হুমায়ুন করিব (৬৮), সালেমা বেগম (৬৫), রামপালের ছলেমান সরদার (৭৫), অনিমেষ সাহা (৭২) ও মোংলার যতিন্দ্র নাথ মিস্ত্রী (৭০), 

মোড়েলগঞ্জের দীপিকা রানী সরকার (৬৮) জানান, বিগত তিন বছর ধরে চোখের ছানির কারণে প্রায় অন্ধ হয়ে ছিলাম।

দারিদ্রতার করণে প্রয়োজনীয় অর্থ থাকায় চোখের ছানি অপারেশন করাতে পারিনি। করোনা প্রকোপ না থাকায় ফের ড. ফরিদের চক্ষু চিকিৎসা শিবির চালু হওয়ায় কোনো অর্থ ছাড়াই তিনি আমাদের ঢাকায় নিয়ে অপারেশনসহ লেন্স সংযোজনের মাধ্যমে সম্পূর্ণ সুস্থ্য করে তুলেছেন। আমরা চোখে আগের মতোই দেখতে পাচ্ছি। এখন কাজকাম করাসহ স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারব।

ঢাকা মেগা সিটি লায়ন্স ক্লাবের সভাপতি ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম জানান, আমার জন্মস্থান বাগেরহাটের রামপালে গত ২০০৯ সাল থেকে বিনামূলে চক্ষু চিকিৎসা শিবিরের মাধ্যমে ৬০ হাজার রোগীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এসব চক্ষু চিকিৎসা শিবির থেকে বাছাই করে দরিদ্র মানুষদের সম্পূর্ণ আর্থিক সহয়তায় দিয়ে তাদের ঢাকায় এনে চোখের
ছানি, নেত্রনালী ও মাংশ বৃদ্ধি অপারেশনের মাধ্যমে সম্পূর্ণ সুস্থ করে তাদের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। এভাবে বিগত দিনে বাগেরহাট সদরসহ রামপাল, মোংলা, শরণখোলা, মোড়েলগঞ্জ ও ফকিরহাট উপজেলার সাড়ে ৫ হাজারের অধিক মানুষকে চোখের ছানি, নেত্রনালী ও মাংস বৃদ্ধির অপারেশনসহ লেন্স সংযোজনের মাধ্যমে সম্পূর্ণ সুস্থ্য করে তোলা হয়েছে। করোনার কারণে গত দুই বছর চক্ষু চিকিৎসা শিবির করা সম্ভব হয়নি। গত ১৯ মে রামপাল উপজেলার বড়দিয়া গ্রামে
চক্ষু চিকিৎসা শিবিরের মাধ্যমে চোখের ছানি, নেত্রনালী ও মাংস বৃদ্ধির অপারেশনের জন্য ৪৫৪ জন রোগীকে বাছাই করা হয়। এর মধ্যে ৩৫৪ জনকে সম্পূর্ণ আর্থিক সহয়তা দিয়ে ঢাকায় এনে দৃষ্টি চক্ষু হাসপাতালে গত দু’সপ্তাহ ধরে চোখের ছানি অপারেশনসহ লেন্স সংযোজন করা হয়। শুধু বিনামূল্যে অপারেশনই নয়, ঢাকায় আনা-নেওয়া, অষুধ, লেন্স সংযোজনসহ সম্পূর্ণ আর্থিক সহয়তা দিয়ে দেওয়া হয়েছে এসব রোগীদের। চোখের আলো ফিরে পাওয়ার পর এসব দরিদ্র মানুষ বুধবার বিকেলে ঢাকা থেকে বাগেরহাটে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। বাকি ১০০ জনের নেত্রনালী ও মাংস বৃদ্ধির অপারেশনের জন্য এখন প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এসব চক্ষু চিকিৎসা শিবির ও রোগী বাছাই করতে চিকিৎসকসহ বিভিন্ন সহয়তা দিয়েছে ঢাকা মেগা সিটি লায়ন্স ক্লাব বলেও জানান তিনি।

news24bd.tv/তৌহিদ

এই রকম আরও টপিক