শপথের সময় মায়ের পাশে জাহাঙ্গীর

সংগৃহীত ছবি

শপথের সময় মায়ের পাশে জাহাঙ্গীর

অনলাইন ডেস্ক

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট প্রার্থী আজমত উল্লা খানকে পরাজিত করে জায়েদা খাতুনের মেয়র হওয়ার পেছনে মূল ভূমিকা ছেলে জাহাঙ্গীর আলমের। মূলত তাকে সামনে রেখেই জায়েদা খাতুনকে মেয়র হিসেবে বেছে নেয় গাজীপুরবাসী।

নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার শুরু থেকে জায়েদা খাতুনের পাশে ছিলেন ছেলে জাহাঙ্গীর আলম। মা মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছিলেন, তাকে যতটুকু সহযোগিতার প্রয়োজন তিনি তা করবেন।

আর সেটাই প্রমাণিত হলো মেয়রের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে।

সোমবার (৩ জুলাই) গাজীপুরসহ পাঁচ সিটি করপোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলররা শপথ নেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আয়োজিত শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে মা জায়েদা খাতুনের পাশেই বসেছিলেন জাহাঙ্গীর আলম। এমনকি যখন শপথ পাঠ করছিলেন তখনও মাকে মাইক ধরে সহযোগিতা করছিলেন সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম।

গাজীপুরের স্থানীয়দের ভাষ্য, জায়েদা খাতুন মেয়র হলেও মূল কাজ ছেলে জাহাঙ্গীর আলমই করবেন। জাহাঙ্গীর অনুসারীরা মনে করেন, জায়েদা খাতুন মেয়র হলেও ছায়া মেয়র হিসেবে কাজ করবেন জাহাঙ্গীর আলম। তারা জাহাঙ্গীর আলমকে দেখেই জায়েদা খাতুনকে ভোট দিয়েছেন।

গত ২৫ মে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের তৃতীয়বারের নির্বাচনে ১৬ হাজারের বেশি ভোটে নৌকার প্রার্থী আজমত উল্লা খানকে পরাজিত করেন জায়েদা খাতুন। মূলত ভোটের লড়াইয়ে টিকতে না পেরে মাকে সামনে রেখে লড়াই চালিয়ে যান জাহাঙ্গীর আলম। এজন্য মায়ের বিজয়কে সবাই জাহাঙ্গীর আলমের বিজয় হিসেবেই দেখছেন।

জাহাঙ্গীর আলম ২০১৮ সালের নির্বাচনে গাজীপুরের মেয়র নির্বাচিত হন। তবে মেয়র থাকাবস্থায় তিনি বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের নিয়ে কটূক্তি করেছেন- এমন অভিযোগে ২০২১ সালে তিনি দল থেকে বহিষ্কার হন। মেয়র পদ থেকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয় তাকে। অবশ্য ক্ষমা চেয়ে দলীয়প্রধানের কাছে লিখিত দেওয়ার পর জাহাঙ্গীর পার পেয়ে যান। এবারের নির্বাচনে মনোনয়ন চেয়েও তিনি বঞ্চিত হন। পরে স্বতন্ত্র হিসেবে নিজেই মনোনয়নপত্র জমা দেন। সঙ্গে মাকেও প্রার্থী করেন। শেষ পর্যন্ত ঋণখেলাপির অভিযোগে তার প্রার্থিতা বাতিল হওয়ায় মাকে সামনে রেখে তিনি লড়ে যান এবং শেষ হাসি হাসেন।

মাকে বিজয়ী করে ক্যারিশমা দেখানোর পর দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কৃত হওয়া জাহাঙ্গীর আলম আবার আওয়ামী লীগে ফিরতে পারেন বলে গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল। তবে আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড থেকে এ ব্যাপারে এখনো কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।

news24bd.tv/আইএএম