অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন আরও ছয়জন।
তারা হলেন- রহমান নেভিগেশন কোম্পানি লিমিটেডের এক্সিকিউটিভ মো. শাহাদাত হোসেন, ইস্টার্ন হাউজিংয়ের কর্মকর্তা শামসুজ্জোহা ফরহাদ, রহমান গ্রুপের নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেদওয়ানুল হক, এফ.সি.এ সিরাজ খান বসাক অ্যান্ড কোং এর কর্মকর্তা রমেন্দ্রনাথ বসাক, মো. আবু সুফিয়ান ও পরিমেলন্দ ভট্টাচার্য।
রোববার (১৬ জুলাই) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে তারা সাক্ষ্য দেন। এরপর আদালত পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ২০ জুলাই দিন ধার্য করেন।
এ মামলায় ৫৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩৯ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে।এর আগে গত ৯ জুলাই ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে দুজন সাক্ষ্য দেন।
গত ১৩ এপ্রিল একই আদালত তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন। এ মামলায় তাদেরকে পলাতক দেখানো হয়েছে।
গত বছরের ২৬ জুন হাইকোর্ট তারেক ও জোবায়দাকে 'পলাতক' ঘোষণা করে ৪ কোটি ৮২ লাখ টাকার দুর্নীতি মামলা দায়ের ও তার প্রক্রিয়ার বৈধতা নিয়ে করা পৃথক রিট আবেদন খারিজ করে দেন।
রিট খারিজ করে দেওয়া রায়ে হাইকোর্ট একইসঙ্গে ২০০৭ সালে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দায়ের করা এ মামলার স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নিয়ে সংশ্লিষ্ট নিম্ন আদালতকে যত দ্রুত সম্ভব বিচার কার্যক্রম শেষ করার নির্দেশ দেন। এছাড়া ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে এ রায় পাওয়ার ১০ দিনের মধ্যে মামলার রেকর্ড ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠাতে বলা হয়।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, জ্ঞাত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা করে দুদক। মামলায় তারেক রহমান, জোবায়দা রহমান ও তার মা ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়। তারেক রহমানের শাশুড়ি মারা যাওয়ায় এই মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
news24bd.tvতৌহিদ