ভূমধ্যসাগরীয় তিন দেশে দাবানলে নিহত ৪০

বেদান্ত প্যাটেল

ভূমধ্যসাগরীয় তিন দেশে দাবানলে নিহত ৪০

অনলাইন ডেস্ক

ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের দাবানলে, ইতালি, আলজেরিয়া ও গ্রিসে ৪০ জনেরও বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। দাবানলে ওই সব এলাকার রিসোর্টগুলোও হুমকির মুখে পড়েছে। এরই মধ্যে হাজার হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। রোডস দ্বীপ থেকে আরো বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে গ্রিস।

খবর- বিবিসি, এএফপি।  

দেশটির করফু ও ইভিয়া দ্বীপও দাবানলে পুড়ছে। বর্তমান তাপপ্রবাহের ভিত্তিতে আবহাওয়াবিদদের ধারণা, গ্রিসের কিছু অংশে তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে উঠে যেতে পারে। ইতালির সিসিলি এবং পুগলিয়ায় দাবানলে হাজার হাজার মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হয়েছে।

আলজেরিয়া, ইতালি ও গ্রিসে দাবানলে অন্তত ৪০ জন নিহত হয়েছেন। প্রবল বাতাস এবং খটখটে শুকনা গাছপালার কারণে আগুন নেভানোর কাজ কঠিন হয়ে উঠেছে।

এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটেছে উত্তর আফ্রিকার আলজেরিয়ায়। দেশটিতে নিহত ৩৪ জনের মধ্যে ১০ জনই সেনা সদস্য। আলজেরিয়ার সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা বেজাইয়াতে গতকাল বুধবার পর্যন্ত ২৩ জনের প্রাণ গেছে। আলজেরিয়া সরকার জানিয়েছে, গত রবিবার থেকে ৮০ শতাংশ দাবানল নিভিয়ে ফেলা হয়েছে।

তবে এখনো ব্যাপক হারে অগ্নিনির্বাপণ প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আলজেরিয়ার প্রতিবেশী তিউনিশিয়াতেও আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে উপকূলীয় গ্রাম মেলৌলা থেকে অন্তত ৩০০ জনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

গতকাল গ্রিসের নাগরিক সুরক্ষা মন্ত্রণালয় দেশটির ১৩টি অঞ্চলের মধ্যে ছয়টিতে দাবানলের চরম বিপদের ব্যাপারে সতর্ক করেছে। রাজধানী এথেন্সের উত্তরের ইভিয়া দ্বীপে বিমান থেকে আগুন নেভাতে গিয়ে দুজন পাইলট নিহত হয়েছেন।

তাঁদের অগ্নিনির্বাপক বিমানটি বিধ্বস্ত হয়ে প্রাণহানির ঘটনাটি ঘটেছে। গ্রিসের রোডস দ্বীপে গত কয়েক দিনে ২০ হাজারের বেশি মানুষকে তাদের ঘরবাড়ি এবং রিসোর্ট থেকে পর্যটকদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ইতালির পালের্মোতে ছুটি কাটাতে গিয়ে সত্তরোর্ধ্ব এক দম্পতি প্রাণ হারিয়েছেন। ওই শহরের পাশেই ৮৮ বছর বয়সী আরেক নারী প্রাণ হারিয়েছেন। গত সোমবার কাতানিয়ায় তাপমাত্রা ৪৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠে যায়। সেখানে পানি ও বিদ্যুতের চরম সংকট দেখা দিয়েছে। গতকাল ফ্রান্সের ভূমধ্যসাগরীয় দ্বীপ কর্সিকাতেও দাবানল শুরু হয়েছে।

news24bd.tv/আইএএম