বিপদসীমার কাছাকাছি তিস্তার পানি, উত্তরে বন্যার আশঙ্কা

সংগৃহীত ছবি

বিপদসীমার কাছাকাছি তিস্তার পানি, উত্তরে বন্যার আশঙ্কা

অনলাইন ডেস্ক

ভারী বৃষ্টি আর উজানের ঢলে দেশের উত্তরাঞ্চলের প্রধান নদ-নদীর পানি বাড়ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় তিস্তার পানি ডালিয়া ও কাউনিয়া পয়েন্টে বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে বলে সতর্ক করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।

এ ছাড়া উত্তরের ধরলা ও দুধকুমার নদ-নদীর পানি আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টায় দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা রয়েছে। এ জন্য নদীর অববাহিকা, চর, দ্বীপচরের মানুষদের সতর্ক থাকাসহ প্রয়োজনে আশ্রয়কেন্দ্রে সরে যাওয়ার বার্তা দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, উজানের পাহাড়ি ঢলে এক সপ্তাহ ধরে তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার, ব্রহ্মপুত্রের পানি বাড়ছে। নদীগুলোর পানি বর্তমানে বিপদসীমার কাছাকাছি অবস্থান করছে।

রবিবার (১৩ আগস্ট) দুপুর ১২টায় তিস্তার পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ১৭ সেন্টিমিটার ও কাউনিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এদিকে ধরলা নদীর পানি সকাল ৯টায় কুড়িগ্রাম পয়েন্টে ৭৮ সেন্টিমিটার, তালুক শিমুলবাড়ি পয়েন্টে ১ দশমিক ৪৩ মিটার, দুধকুমার নদের পানি পাটেশ্বরী পয়েন্টে বিপদসীমার ৯০ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্র নদের নুনখাওয়া পয়েন্টে ৭০ সেন্টিমিটার, চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ৬১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।

রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আহসান হাবীব বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের উজানে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির কারণে তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার নদ-নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাবে। উজানের ঢলের কারণে ক্ষয়-ক্ষতি কমাতে ইতোমধ্যে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে।

এ ছাড়া, চট্টগ্রামে কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় মহানগরীর ৪১টি ওয়ার্ডের প্রায় ৫০ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কোথাও কোথাও সড়কের আশপাশে ফুটপাথে বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়াও নগরীতে ২ দশমিক ১৯ কিলোমিটার নালা ও প্রায় ২ কিলোমিটার ফুটপাথ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এ সময় অতিবৃষ্টি ও বন্যায় মহানগরী ও জেলার ৫০ হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) ও জেলা প্রশাসন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

চসিকের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মুনিরুল হুদা জানান, ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া সড়ক সংস্কারের জন্য ৬০ কোটি টাকা প্রয়োজন। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কাছে এই টাকা বরাদ্দ চাওয়া হবে। এর আগে বৃষ্টি মৌসুম চলে গেলে চসিকের ব্যবস্থাপনায় সড়ক সংস্কার করা হবে।

এদিকে মৌসুমি বায়ুর সক্রিয়তার কারণে রবিবার সকাল ৯টা থেকে শুরু করে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঢাকাসহ আট বিভাগে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এতে আরও বলা হয়েছে, দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ও ভারী বর্ষণ হতে পারে।

News24bd.tv/AA