সশস্ত্র সেনাদের সামনেই নামাজ আদায়

সংগৃহীত ছবি

সশস্ত্র সেনাদের সামনেই নামাজ আদায়

অনলাইন ডেস্ক

ইসরায়েলি বাহিনীর কড়া নিরাপত্তা ও সশস্ত্র সেনা টহল তোয়াক্কা না করে রাজধানী জেরুজালেমে পবিত্র আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণের বাইরে নামাজ আদায় করেন মুসলমানেরা। শুক্রবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে উন্মুক্ত স্থানে নামাজ আদায় করেন তারা। যে পাহাড়ে মসজিদটি অবস্থিত তা ইহুদিদের জন্য সবচেয়ে পবিত্র স্থান টেম্পল মাউন্ট নামে পরিচিত। এই এলাকায় প্রায়ই মুসলমান ও ইহুদিবাদীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

খবর রয়টার্স।  

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে সশস্ত্র হামাসের হামলা এবং হামাস-শাসিত গাজায় ইসরায়েলি বোমাবর্ষণ এবং অবরোধের পর থেকে ফিলিস্তিনিদের প্রার্থনার জন্য আল-আকসা মসজিদে প্রবেশ সীমাবদ্ধ করে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ।

গত ২৪ অক্টোবর ইসরায়েলি বাহিনী এবং গাজার সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের চলমান যুদ্ধের মধ্যে দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেমে অবস্থিত পবিত্র আল-আকসা মসজিদে মুসলমানদের প্রবেশ বন্ধ করে দেয় ইসরায়েল। এর পর কোনো মুসলিমকে মসজিদ প্রাঙ্গণে ঢুকতে দিচ্ছে না ইসরায়েলি পুলিশ।

পবিত্র স্থানটির দায়িত্বে থাকা ইসলামিক ওয়াক্‌ফ বিভাগ এ তথ্য নিশ্চিত করে। তবে সে দিন সকাল থেকে আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে শুধু ইহুদিরা প্রবেশ করেন।  

মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের কাছে মসজিদ আল আকসা তৃতীয় পবিত্রতম স্থান। ইসলাম ধর্ম অনুসারিদের কাছে এর তাৎপর্য অনেক। আরবি ভাষায় আল আকসা শব্দের অর্থ ‘অনেক দূর’। পবিত্র এই মসজিদটি জেরুজালেমের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত। মক্কা এবং মদিনার পরে মুসলিমরা এ স্থানকে অধিক সম্মানের চোখে দেখেন।  

পবিত্র কুরআনের সূরা বনিইসরায়েলের ১ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, পবিত্র ও মহীয়ান তিনি যিনি তার বান্দাকে রাতের বেলা ভ্রমণ করিয়েছেন মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা পর্যন্ত, যার চারপাশকে আমি কল্যাণময় করেছি। তাকে আমার নিদর্শনাবলী দেখানোর জন্য, তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।  

এই আয়াতে মূলত নবী কারিম সা. কে মক্কা থেকে মসজিদ আল আকসায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। ঊর্ধ্ব আকাশে গমনের আগে এখানে তিনি নামাজ পড়িয়েছিলেন।  

ইসলামের তথ্যানুসারে, মদিনা থেকে নবী কারিম সা. এর যাত্রা বৈজ্ঞানিকভাবে ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয়। এটি ঘটেছিল আল্লাহর অলৌকিক নিদর্শনের মাধ্যমে। রাসূল সা. জেরুজালেমের মসজিদ আল আকসায় পৌঁছানোর পর সেখান থেকে ঊর্ধ্ব আকাশে গমন করেন।  

রাসূল সা. এমন এক সময় মেরাজে গিয়েছিলেন যখন তিনি ধর্ম প্রচারের জন্য নিজ গোষ্ঠী এবং পরিবারের লোকের দ্বারা অপমান এবং নির্যাতনের শিকার হতেন।  পবিত্র কুরআনে বিভিন্ন আয়াত এবং হাদিসে মসজিদ আল আকসার কথা বর্ণনা করা হয়েছে।  

news24bd.tv/AA