ব্রিটিশদের উদ্ভাবিত পানীয় চা নিয়ে এবার এক অদ্ভুত মত দিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক বিজ্ঞানী। যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ার ব্রাইন মাওর কলেজের প্রফেসর ও বিজ্ঞানী মিশেল ফ্রাঙ্কল চায়ের রসায়ন নিয়ে একটি বই লেখেন। তাতে তিনি বলেন, তেতো স্বাদ কমানোর জন্য চা তৈরির সময় এর সঙ্গে লবণ মেশাতে হবে। বিশ্ব রাজনীতিতে সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী মিত্র যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য চা পানের ধরন নিয়ে রীতিমত বিতর্কেই জড়িয়ে পড়েছে তা বলা বাহুল্য।
এ বিষয়ে একটি বৈজ্ঞানিক গবেষণার ফল প্রকাশের পর শুরু হয়েছে চা নিয়ে বিতর্ক। বুধবার ব্রিটিশ আইটিভির সকালের অনুষ্ঠানে এ নিয়ে আমেরিকানদের রীতিমত তুলোধুনো করা হলো। ব্রিটিশরা বলেছে, তাদের চা পানের রীতি নিয়ে উপহাস করা হচ্ছে।
এরপর সন্ধ্যা নাগাদ লন্ডনে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জানিয়েছে 'চায়ে লবণ দেওয়া কখনোই তাদের নীতি নয়।
অনেকের বিষয়টি নিয়ে এক্স (টুইটার) প্ল্যাটফর্মে হাস্যরসাত্মক পোস্ট করছেন। সাংবাদিক মলি কোয়েল বলেন, ‘আমরা মনে হয়, আবার একে অপরের সঙ্গে যুদ্ধে নামছি। ’ ব্রিটিশ কমেডিয়ান ম্যাট গ্রিন বলেন, ‘এসব কি হচ্ছে?’
যদিও বৈজ্ঞানিক ওই গবেষণায় চা পান করে এর সঠিক গুনাগুণ পাওয়ার কিছু পদ্ধতি নিয়েও কথা বলা হয়। সেখানে এক চিমটি লবণ যোগ করা ছাড়াও, কিছুটা লেবুর রস যোগ করার কথাও রয়েছে।
উল্লেখ্য, অন্য দেশের খাবার বা পানীয় নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নতুন 'এক্সপেরিমেন্ট' করার নীতি এইবারই প্রথম না। বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় ইতালিয়ান খাবার পিৎজার উপর আনারস প্রয়োগ করে আনারস পিৎজার উদ্ভাবন করায় সমালোচনা হয় অনেক। ইতালির বিভিন্ন রন্ধন বিশেষজ্ঞরা মার্কিনদের করা এই 'এক্সপেরিমেন্ট' নিয়ে নাখোশ রয়েছেন এখনো। যদিও অনেকেই আবার এসব 'এক্সপেরিমেন্টকে' নতুন চমক বলেও আখ্যা দেন।
news24bd.tv/SC