চলতি বছরের জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে ডয়েচে ভেলে ও পলিটিকো ভিন্ন ভিন্ন দুটো প্রতিবেদন করে যার বিষয় বাইডেন ও ট্রাম্পের পর যুক্তরাষ্ট্রের হাল ধরছেন কে ? সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি আগামী নির্বাচনে না ও ফেরেন মামলা সংক্রান্ত আইনি জটিলতায় এরপরও তার প্রভাব অনেক। কারণ ইতোমধ্যে তিনি তার দলের ফেরেন বা না ফেরেন, যুক্তরাষ্ট্রের আগামী নির্বাচনের প্রভাব অনেক।
যুক্তরাষ্ট্রের আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী বাছাইয়ের লড়াইয়ে দেশটির আইওয়া অঙ্গরাজ্যে জিতেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিউ হ্যাম্পশায়ারের রিপাবলিকান প্রাথমিক নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন।
ফলে আইনি জটিলতা দেখা না দিলে রিপাবলিকান দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে ট্রাম্প লড়ছেন।তার জনপ্রিয়তাও দিনের পর দিন বাড়ছে। যুদ্ধনীতির কারণে কমছে বাইডেনের জনপ্রিয়তা। বয়স হয়েছে দুজনেরই।
অনেকে আশা করেছিলেন কমলা হ্যারিস বাইডেনের পর হাল ধরবেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত বাইডেনের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস তেমন নেতৃত্বের পরিচয় দেখাতে পারেননি। নিজের দপ্তরে কেলেঙ্কারির ফলেও কিছুটা কোণঠাসা হয়ে গেছেন। নিজ ছেলের মামলা নিয়েও আছেন বিপত্তিতে।
অন্যদিকে রিপাবলিকান শিবিরে ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন ব্যবসায়ী বিবেক রামস্বামী ও ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে রন ডিস্যান্টিস রণে ভঙ্গ দিয়েছেন। নিকি হ্যালি ও ট্রাম্পের কাছে দলের ভেতরে জনপ্রিয়তার ভিত্তিতে অনেক পিছিয়ে।
যদি ট্রাম্প পুনরায় প্রেসিডেন্ট হন তবে রামস্বামী ট্রাম্পের ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হতে পারেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। রামস্বামীর ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। নিকি হ্যালিরও রয়েছে। এ দুজনের মধ্যে থেকে ভবিষ্যতের নেতৃত্ব উঠে আসতে পারে। গুঞ্জন রয়েছে আইনি ঝামেলা থেকে মুক্তি পেয়ে যদি ভালো ইমেজ তৈরি করতে পারেন তবে কমলা হ্যারিসকে আগামী নির্বাচনের পর বিবেচনা করা হতে পারে ভবিষ্যতের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিকে যতটা শক্তিশালী করে তুলেছেন ও কর্মসংস্থানে জোয়ার এনেছেন, শুধু সেই তথ্যের ভিত্তিতেই তাঁর পুনর্নির্বাচনের সম্ভাবনা উজ্জ্বল হতে পারত। কিন্তু বিভিন্ন কারণে ভোটারদের মনে তাঁর ভাবমূর্তি যথেষ্ট অনুকূল নয়। ফলে তাঁর পুনর্নির্বাচনের সম্ভাবনা প্রশ্নের মুখে পড়ছে। ইউক্রেন যুদ্ধ ও মধ্যপ্রাচ্য সংকটের মতো আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে বাইডেনকে এত ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে যে তিনি নিজের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার মতো যথেষ্ট সময় পাচ্ছেন না।
সাধারণত মার্কিন ভোটারদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের অগ্রাধিকারের তালিকায় পররাষ্ট্রনীতির স্থান অনেক পেছনে।
এছাড়া মার্কিন ভোটাররা একটু ‘হুজুগে’ হিসেবেই পরিচিত। ফলে তারা কাকে কখন নেতার জায়গায় দেখতে চাইবে এটা বলাও বেশ ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করেন স্টেন ব্রেয়ান, যিনি যুক্তরাষ্ট্রের একজন উঠতি বুদ্ধিজীবী।
news24bd.tv/ ডিডি