মেঘনা নদীতে ট্রলারডুবিতে এক নারী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ কনস্টেবলসহ ৬ জন নিখোঁজ রয়েছেন। শুক্রবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ ও কিশোরগঞ্জের ভৈরবের মধ্যবর্তী মেঘনা নদীর রেলওয়ের দুই সেতুর কাছে এ ঘটনা ঘটে।
প্রাথমিকভাবে নিহত নারীর নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
আহত যুবকের নাম তোফাজ্জল হক (২২) বলে জানা গেছে। তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।নিখোঁজরা হলেন ভৈরব হাইওয়ে থানার কনস্টেবল সোহেল (৩০), তার স্ত্রী ও দুই সন্তান এবং আনিকা বেগম (২০)। আরো একজনের পরিচয় জানা যায়নি।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল ৫টার দিকে একটি ট্রলারে করে ১৫-২০ জন মেঘনা নদীতে ঘুরতে যান। এর কিছুক্ষণ পর বিপরীত দিক থেকে আসা একটি পাথরবাহী বাল্কহেড ওই ট্রলারটিকে ধাক্কা দিলে ট্রলারটি উল্টে ডুবে যায়। তাৎক্ষনিক ভৈরব নৌ পুলিশ স্থানীয় জনগণের সহায়তায় ১৪ জনকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ভর্তি করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজন অজ্ঞাত মহিলা (৩৫) মারা যায় ও ০১ জন মুমূর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছে এবং ১২ জন প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ফিরে গেছেন। নিখোঁজদের মধ্যে একজন ভৈরব হাইওয়ে থানায় কর্মরত কনস্টেবল সোহেল, তার স্ত্রী ও দুই সন্তানসহ ৬ জন নিখোঁজ আছে।
ভৈরব নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কে এম মনিরুজ্জামান চৌধুরী জানান, ট্রলারে করে তারা ইফতার করার জন্য ভৈরব থেকে মেঘনা নদীর আশুগঞ্জ চরসোনারামপুর চরে যাচ্ছিল। এ সময় পাথরবাহী বাল্কহেডটি ওই ট্রলারটিকে ধাক্কা দেয়।
তিনি আরও বলেন, ঘটনাস্থলে আশুগঞ্জ থানা পুলিশ, ভৈরব নৌ পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস এর ডুবুরি দল উদ্ধার কাজে অংশ নেয়। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল সকাল থেকে আবার উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। বাল্কহেড এখনো আটক হয়নি।
news24bd.tv/DHL