মেয়রের মেয়ে ভারতে গিয়ে কেন নিখোঁজ হয়েছিলেন জানা যায়নি

মেয়রের মেয়ে ভারতে গিয়ে কেন নিখোঁজ হয়েছিলেন জানা যায়নি

অনলাইন ডেস্ক

মেয়রের মেয়ে ভারত গিয়েছিলেন একাই। ভারতের গোয়ায়। সেখানে তার বন্ধু রয়েছে। কিন্তু ওখানে যাওয়ার পর আর যোগাযোগ করে পাননি মেয়র।

পরে বাধ্য হয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দেন যে তার মেয়েকে  খুঁজে পাচ্ছেন না। গোয়া পুলিশকেও জানানো হয়। তারা তল্লাশি শুরু করে।  
কিন্তু আজ গত বুধবার রাতে তাকে পাওয়া যায়।
মেয়রের মেয়ে ধর্মগুরু ওশোর অনুসারী। সোমবার রাতে নিখোঁজ হন। মেয়র বলেন, তিনি একা মেয়েকে এসময় তিনি চাননি। কিন্তু মেয়ে প্রায় তার অনুরোধ উপক্ষো করেই গিয়েছেন।  
মেয়ের নাম আরতি হালাল। তার বাবা নেপালের ধানগড়ি উপ-মহানগরের মেয়র।  গোপাল হামাল, গোয়া পুলিশকে জানিয়েছিলেন, তাঁর বড় মেয়ে আরতিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। অবশেষে বুধবার (২৭ মার্চ) তাঁর খোঁজ পেল গোয়া পুলিশ। কিন্তু কী হয়েছিল তাঁর? ৪৮ ঘণ্টা ধরে কোথায় ছিলেন ওই তরুণী?
তাঁর বাবা গোপাল হামাল জানিয়েছেন গত কয়েক মাস ধরে গোয়ায়, ওশোর স্থাপিত একটি ধ্যান কেন্দ্রে ছিলেন আরতি হামাল। সোমবার, তাঁর বন্ধুরা গোপাল হামালকে জানান, আরতির সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। এরপর, তাঁর পরিবারের লোকজনও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু, আরতির কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। এরপরই তাঁরা পুলিশকে খবর দিয়েছিলেন। তাঁরা জানিয়েছিলেন, আরতিকে শেষবার অশ্বেম সমুদ্র সৈকতের কাছে এক জাযগায় দেখেছিল তাঁর বন্ধুরা। অশ্বেমের জোরবা বিচের কাছে আরতির সঙ্গে তাদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। এই অবস্থায় নেপালের মেয়র মেয়েকে খুঁজে পেতে গোয়ার বাসিন্দাদের সাহায্য চেয়েছিলেন।
তিনি আরও জানান, তাঁর ছোট মেয়ে আরজু তাঁর স্বামী, আরতিকে খুঁজতে গোয়ায় যাচ্ছেন। এরপর গোয়া থেকে আরজু হামাল জানিয়েছিলেন, কিছু মানুষের দাবি, তারা আরতিকে সিওলিমের কাছে একটি সেতুর উপর দেখেছিল। তাদের মধ্যে কয়েকজন জানান, সেতুতে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে ছিলেন আরতি। সেখান থেকে তাঁকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আবার কেউ কেউ আরজুকে জানান, তাঁকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তবে কোনও কিছুই তাঁদের কাছে স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছিলেন তিনি
শেষ পর্যন্ত মান্দ্রেমের এক হোটেলে তাঁকে পাওয়া গিয়েছে।  কিন্তু  এই ৪৮ ঘণ্টা তিনি কোথায় ছিলেন, কীভাবে ওই হোটেলে পৌঁছেছিলেন, সেই সম্পর্কে বিশেষ কিছু এখনও জানাতে পারেনি পুলিশ। সূত্র, টিভিনাইন ।  

news24bd.tv/ডিডি
 

এই রকম আরও টপিক