‘ফণীর প্রভাবে লঞ্চ চলাচল বন্ধ’

ঘূর্ণিঝড় ফণী

‘ফণীর প্রভাবে লঞ্চ চলাচল বন্ধ’

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে পটুয়াখালী-ঢাকা ও অভ্যন্তরীণ রুটে সব ধরনের লঞ্চ চলাচল বন্ধ করেছে বিআইডব্লিউটিএ।

এর আগে ভারতীয় আবহাওয়া অফিস বলেছে, ঘণ্টায় ১৭০ কিলোমিটার বাতাসের শক্তি হাজার কিলোমিটার ব্যাসের বিস্তার নিয়ে উড়িষ্যা উপকূলের দিকে ধেয়ে যাচ্ছে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণী। শুক্রবার দুপুর নাগাদ উড়িষ্যা উপকূল অতিক্রম করতে পারে। আর যদি উত্তরমুখী গতিপথ ধরে রাখে, তবে কিছুটা দুর্বল হয়ে শনিবার সকালে বাংলাদেশের সীমানায় হানা দিতে পারে ফণী।

এজন্য বাংলাদেশের মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে সাত নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

আসন্ন দুর্যোগ মোবাবেলায় বুধবার থেকেই বিপুল প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে দুই প্রতিবেশী দেশ ভারত ও বাংলাদেশ।

ইতিমধ্যে ভারতীয় রাজ্য উড়িষ্যা ও অন্ধ্রপ্রদেশের বেশ কিছু জেলায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী এ দুই রাজ্য ছাড়াও বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দরগুলোতে চার ও সাত নম্বর হুশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের খবরে বলা হয়েছে, বর্তমানে পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণী সামান্য উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে।

এটি বৃহস্পাতিবার সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১০৬৫ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১০২৫ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯১৫ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯২৫ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘণীভূত ও উত্তর/উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে শুক্রবার বিকেল নাগাদ ভারতের উড়িষ্যা উপকূল অতিক্রম করতে পারে এবং পরে উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে হয়ে শুক্রবার মে সন্ধ্যা নাগাদ খুলনা ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল এলাকায় পৌঁছাতে পারে।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/লিটু/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর