সব মানুষেরই কম-বেশি প্রতিপক্ষ বা প্রতিদ্বন্দ্বী থাকে। সহজ ভাষায়সেই প্রতিপক্ষ কিংবা প্রতিদ্বন্দ্বী ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে শত্রু মনে করা হয়। শত্রু দ্বারা যে কোনো সময় শারীরিক, মানসিক বা আর্থিক ক্ষতি সংঘটিত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। কাজেই শত্রুর হাত থেকে রক্ষা পেতে সর্বদা সতর্ক থাকতে হয়। শত্রুর সাথে কিছু আচরণ শত্রুকে বন্ধু বানিয়ে দেয়, আবার কিছু আচরণ শত্রুকে চির শত্রুতে পরিণত করে। যেসব আচরণে শত্রু বন্ধু হয় (১) মন্দকে ভালো দ্বারা দূরীভূত করা: অতীব গুরুত্বপূর্ণ একটি চারিত্রিক শিক্ষা হলোমন্দকে ভালো দ্বারা দূরীভূত করা। যা উত্কৃষ্ট তা দিয়ে নিকৃষ্টকে প্রতিহত করা। অর্থাত্ অন্যায়ের পরিবর্তে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করা, জুলুমের পরিবর্তে ক্ষমা করা, ক্রোধের পরিবর্তে ধৈর্যধারণ করা, অভদ্রতার পরিবর্তে ভদ্রতা প্রদর্শন করা, মূর্খতা বা অশ্লীলতার পরিবর্তে শালীন আচরণ করা...
ইসলাম ও সমাজ, শত্রু যেভাবে বন্ধু হয়
ড. আবু সালেহ মুহাম্মদ তোহা

কাবাপ্রেমে প্রজ্জ্বল যিনি
মাওলানা ইলিয়াছ জাবের

চলছে হজের মৌসুম। বিশ্বের আনাচ-কানাচ থেকে মুসলমানরা ছুটে যাচ্ছেন পবিত্র কাবায়। খোদাপ্রেমের নজরানা দিতে হাজির হচ্ছেন কাবার দহলিজে। কোরআনের ভাষায় কাবা-ই পৃথিবীর প্রথম ঘর। আল্লাহর ঘর। প্রেমের ঘর। বান্দার প্রতিটি ইবাদতের গভীরে থাকে আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা। হজ আল্লাহপ্রেমের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তাই হজের সময় হলেই আল্লাহ প্রেমিকরা ব্যাকুল হয়ে ছুটে যায় আল্লাহর ঘর কাবায় ও প্রিয়নবী (সা.)-এর রওজায়। ব্যাকুল প্রার্থনায় কবুল করিয়ে নেন বার বার শাহি দরবারে হাজিরের সুযোগ। আল্লাহর দরবারে বার বার হাজির হওয়া এমনি একজন মহান ব্যক্তিত্ব আল্লামা আব্দুল হামিদ। যিনি মধুপুরের পির হিসেবে খ্যাত। আল্লামা আব্দুল হামিদ বাংলাদেশের শীর্ষ মুরুব্বি, বিশিষ্ট আলেমে দ্বিন। ঢাকার অদূরে বিক্রমপুরে জন্ম। ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে দ্বিনি শিক্ষা ও আত্মশুদ্ধির পথে কাজ করছেন। হজের...
ঈদুল আজহা ও হজের কোরবানি দুইটাই দিতে হবে, নাকি একটা?
অনলাইন ডেস্ক

কোরবানির দুই প্রকারের মধ্যে একটি হলো শুকুর বা হজের কোরবানি এবং অপরটি হচ্ছে ঈদুল আজহার কোরবানি। অনেক হাজিগণ বিষয়টি না জানার কারণে শুধুমাত্র একটি কোরবানি করে থাকেন। আর ঈদুল আজহার কোরবানি করেন না। অথচ কোনো কোনো হাজিদের ওপর ঈদুল আজহার কোরবানিও ওয়াজিব হয়ে থাকে। হজের কোরবানি: যে সকল হাজিগণ একই সফরে ওমরা ও হজ পালনের মাধ্যমে দুটি ইবাদত করে থাকেন। তাদের জন্য শুকরিয়া স্বরূপ একটি কোরবানি করা ওয়াজিব। এ কোরবানিকে হজের কোরবানি বলা হয়। এটি ঈদুল আজহার কোরবানির অন্তর্ভুক্ত নয়। ঈদুল আজহার কোরবানি: যে সকল হাজিগন মক্কা মুকাররামা, মীনা, আরাফা ও মুজদালিফায় কোরবানির দিনগুলোসহ ১৫ দিন বা তার বেশি সময় অবস্থান করবেন তারা মুকিম বলে গণ্য হবেন। তাদের ওপর ঈদুল আজহার কোরবানিও ওয়াজিব হবে। ফলে তাদেরকে দুটি কোরবানি করতে হবে। একটি হজের কোরবানি এবং অপরটি হচ্ছে ঈদুল...
নবীজি (সা.)-এর ওপর মিথ্যারোপের ভয়াবহতা
মাইমুনা আক্তার

পৃথিবীর যত জঘন্য অপরাধ রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম হলো রাসুল (সা.)-এর সম্পর্কে মিথ্যাচার করা। অর্থাৎ তিনি যা বলেননি, তা তাঁর নামে চালিয়ে দেওয়া কিংবা তাঁর সুস্পষ্ট নির্দেশ অস্বীকার করা। রাসুল (সা.)-এর ওপর মিথ্যার পরিণতি অত্যন্ত ভয়াবহ। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে মুগিরা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, আমার ওপর মিথ্যারোপ অন্য কারও ওপর মিথ্যারোপের মতো নয়। যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে আমার নামে মিথ্যা বলবে, সে যেন জাহান্নামে নিজের জায়গা ঠিক করে নেয়। (বুখারি, হাদিস: ১২৯১) অর্থাৎ, রাসুল (সা.)-এর নামে মিথ্যা বলার শাস্তি জাহান্নাম। এটি এত বড় গুনাহ যে যারা তা করে, তারা আল্লাহর কাছে অভিশপ্ত হয়। তাঁর শানের পরিপন্থী উক্তি করা কিংবা মিথ্যা তথ্য ছড়ানো ভয়ঙ্কর অপরাধ। এরকম একজন অভিশপ্ত মানুষের উদাহরণ পাওয়া যায় রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর যুগেই, নবীজির শানের...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর