সন্তানরা মানুষের আবেগ ও ভালোবাসার কেন্দ্রবিন্দু। অনেকেই সন্তানদের মধুর মুহূর্তগুলো স্মরণীয় করে রাখতে ছবি তোলেন। অথচ অনেক ফকিহ ও বিজ্ঞ আলেমের মতে, অহেতুক ছবি তোলা ইসলামে নিষিদ্ধ। এতে একদিকে যেমন শরিয়তের সীমা লঙ্ঘিত হয়, অন্যদিকে এসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করার কারণে শিশুদের বদনজরের ঝুঁকিতে ফেলে দেওয়া হয়। ফলে শিশুরা শারীরিক বা মানসিক বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। বদনজর কোনো কুসংস্কার নয়। বাস্তবেই মানুষের কুদৃষ্টি দ্বারা ক্ষতি হয়। নবী-রাসুলরাও এ বিষয়ে সতর্ক করতেন। কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, সে (ইয়াকুব (আ.)) বলল, হে আমার পুত্ররা! (মিসরে প্রবেশের সময়) সবাই একই প্রবেশদ্বার দিয়ে প্রবেশ কোরো না, ভিন্ন ভিন্ন দরজা দিয়ে প্রবেশ করবে। আল্লাহর কোনো বিধান থেকে আমি তোমাদের রক্ষা করতে পারি না। বিধান কেবল আল্লাহরই। তাঁর ওপরই আমি ভরসা করি এবং তাঁরই ওপর...
অনলাইনে শিশুর ছবি প্রচারে সতর্কতা জরুরি
মাইমুনা আক্তার

বিশেষ সময়ে পঠিতব্য কোরআনের কিছু সূরা
শরিফ আহমাদ

পবিত্র কোরআনের প্রতিটি সুরা ও আয়াতে আছে জীবনের দিশা, আত্মার প্রশান্তি এবং নাজাতের উপায়। বিভিন্ন সময়, অবস্থা ও কাজের সঙ্গে নির্দিষ্ট করে কিছু সুরার তিলাওয়াতের ব্যাপারে বিশেষ নির্দেশনা রয়েছে। বর্ণিত হয়েছে একাধিক ফজিলত। এখানে সংক্ষেপে ১২টি সুরার ফজিলত উল্লেখ করা হলো ১. সুরা ফাতিহা কোরআনের প্রথম সুরা ফাতিহা। এটি প্রতিটি নামাজে পাঠ করতে হয়। বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তির জন্যও এটি কার্যকর। আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বলেন, একবার আমরা সফরে ছিলাম। পথিমধ্যে একটি স্থানে অবতরণ করলাম। তখন এক বালিকা এসে জানাল, এখানকার গোত্রপ্রধানকে সাপে কেটেছে। আমাদের পুরুষরা অনুপস্থিত। আপনাদের কেউ কি ঝাড়ফুঁক করতে পারেন? আমাদের মধ্য থেকে একজন গেলেন। তিনি শুধু সুরা ফাতিহা পড়ে ঝাড়ফুঁক করলেন। রোগী সুস্থ হয়ে উঠলে তিনি ৩০টি ছাগল উপহার দেন এবং আমাদের সবাইকে দুধ পান করান। (বুখারি, হাদিস: ৪৬৪৫)...
আধুনিক বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে হজের কার্যাবলী
আসআদ শাহীন

হজ এক আধ্যাত্মিক মহাসম্মেলন, মানবতার এক নিঃশব্দ ধ্বনি, এক চেতনার উত্সার। সময়ের সীমানা অতিক্রম করে, কোটি হূদয় একত্রিত হয় পবিত্র বায়তুল্লাহর চারপাশে। ইসলামের অন্যতম স্তম্ভ এই হজ কেবল এক ধর্মীয় অনুশাসন নয়; আধুনিক বিজ্ঞান, মনোবিজ্ঞান ও পরিবেশবিদ্যার বিবেচনায় এটি এক বিস্ময়কর অনুশীলন। আল্লাহ তাআলা বলেন : এবং মানুষের মধ্যে হজের ঘোষণা দাও। তারা তোমার কাছে আসবে পদযোগে এবং দূর-দূরান্তের পথ অতিক্রমকারী উটের পিঠে সওয়ার হয়ে যেগুলো (দীর্ঘ সফরের কারণে) রোগা হয়ে গেছে। (সুরা আল হজ, আয়াত: ২৭) অন্যত্রে বলা হয়েছে : আর এ (কাবা) ঘরের হজ করা হলো মানুষের উপর ফরজ; যে লোকের সামর্থ্য রয়েছে এ পর্যন্ত পৌছার। আর যে লোক তা মানে না, আল্লাহ সারা বিশ্বের কোন কিছুরই পরোয়া করেন না। (সুরা আল ইমরান, আয়াত : ৯৭) ১. ইহরাম ও পরিচ্ছন্নতার আধুনিক প্রজ্ঞা পুরুষদের জন্য ইহরাম হলো দুটি সাদা অমসৃণ কাপড়,...
কিছু বিপদ কল্যাণ বয়ে আনে
মুফতি মুহাম্মদ মর্তুজা

বিপদ সব ক্ষেত্রে মানুষের বিনাশ ডেকে আনে না। বরং কিছু কিছু বিপদ মানুষের জন্য নতুন সম্ভাবনা খুলে দেয়। আরো সচেতন ও শক্তিশালী হতে সাহায্য করে। দুনিয়া-আখিরাতে মর্যাদা বৃদ্ধি করে। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, আর আমি অবশ্যই তোমাদের পরীক্ষা করব কিছু ভয়, ক্ষুধা এবং জান-মাল ও ফল-ফলাদির স্বল্পতার মাধ্যমে। আর তুমি ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দাও। (সুরা: বাকারা, আয়াত: ১৫৫) এ আয়াত দ্বারা বোঝা যাচ্ছে, সাময়িক দুঃখ-কষ্ট, অভাব-অনটন দুনিয়ার জীবনের স্বাভাবিক রুটিনের অন্তর্ভুক্ত। কখনো রাত, কখনো দিন, কখনো কান্না, কখনো হাসি নিয়েই দুনিয়ার জীবন। সুতরাং কোনো বিপদে পড়লে তাকে অপ্রত্যাশিত কিছু মনে না করলেই ধৈর্য ধারণ করা সহজ হয়ে যায়। বিপদে ধৈর্য ধারণ বিপদকে নিয়ামতে পরিণত করে দেয়। তখন বিপদই বান্দার জন্য কল্যাণকর হয়ে যায়। তবে বিপদে আল্লাহর ওপর ভরসা হারালে তা নিছক বিপদই থাকে, বা আরো...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর