একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের চারটি অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার আবদুস সামাদ (মুসা) ওরফে ফিরোজ খাঁর মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল আজ মঙ্গলবার এ রায় দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউটর ছিলেন ঋষিকেশ সাহা ও জাহিদ ইমাম। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুস সাত্তার পালোয়ান।
এর আগে উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে গত ৮ জুলাই রায়ের জন্য অপেক্ষমান রাখেন ট্রাইব্যুনাল। পরে সোমবার (২৬ আগস্ট) রায়ের জন্য মঙ্গলবার দিন ঠিক করেন আদালত।
গত বছরের ১৪ জানুয়ারি রাজধানীর ধানমন্ডিতে তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
ওইদিন তদন্ত সংস্থার ব্রিফিংয়ে বলা হয়, পুঠিয়ার বাঁশবাড়ী এলাকার মৃত আব্বাস আলীর ছেলে মো. আব্দুস সামাদ (মুসা) ওরফে ফিরোজ খাঁ যুদ্ধের আগে মুসলিম লীগ সমর্থক ছিলেন।
প্রতিবেদনে এই আসামির বিরুদ্ধে ১৫ জনকে হত্যা, ২১ জনকে নির্যাতন, ৮/১০টি বাড়িঘর লুণ্ঠনসহ ৫০/৬০টি বাড়িঘর অগ্নিসংযোগ করে ধ্বংস করার ৫টি অভিযোগ আনা হয়।
২০১৭ সালের ২৪ জানুয়ারি এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় তাকে।
অভিযোগে বলা হয়, ১৯৭১ সালের ১৯ এপ্রিল মুসা ও তার সহযোগীরা পুঠিয়ার ৪ নম্বর ভালুকগাছী ইউনিয়নের পশ্চিমভাগের সাঁওতাল পাড়ায় নিজহাতে তরবারি দিয়ে ও পাকিস্তানি আর্মিরা গুলি করে লাডে হেমরম, কানু হাসদা, টুনু মাড্ডি ও জটু সরেনদেরকে হত্যা করে।
পরে তার বিরুদ্ধে গত বছরের ১২ এপ্রিল ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়। ২০ এপ্রিল অভিযোগ আমলে নেওয়ার পর শুনানি শেষে ৯ সেপ্টেম্বর মুসার বিরুদ্ধে অভিযাগ গঠনের আদেশ দেওয়া হয়।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল)