মোংলা-ঘোষিয়াখালী আন্তর্জাতিক নৌ চ্যানেল তীব্র ভাঙনের মুখে

মোংলা-ঘোষিয়াখালী আন্তর্জাতিক নৌ চ্যানেল তীব্র ভাঙনের মুখে

অনলাইন ডেস্ক

মোংলা-ঘষিয়াখালী আন্তর্জাতিক নৌ চ্যানেলে বাগেরহাটের রামপাল উপজেলা সদর পয়েন্টে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত কয়েক দিনে নদী ভাঙনে রাস্তাঘাট, বসতবাড়ি, দোকানপাট ও ফসলী জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।  

মাত্র দু’বছর আগে মৃতপ্রায় মোংলা-ঘষিয়াখালী আন্তর্জাতিক নৌ চ্যানেল খনন করা হয়। বর্তমানে নৌ চ্যানেলটির রামপাল উপজেলা সদর, পেড়িখালী খেয়াঘাট, রামপাল থেকে বগুড়া খেয়াঘাট পর্যন্ত দুই কিলোমিটার রাস্তা ভাঙনের কবলে পড়েছে।

গত কয়েক দিনে রামপাল পেড়িখালী খেয়াঘাটের দুই পাড়ে ব্যাপক ভাঙনে বেশ কিছু অংশ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়।

সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রামপাল উপজেলা পরিষদ ও সরকারি ডিগ্রী কলেজের সামনে থেকে বগুড়া খেয়াঘাট পর্যন্ত দুই কিলোমিটার নতুন ইটের সোলিং রাস্তা। এই রাস্তাটি ব্যাপকভাবে ভাঙনের কবলে পড়েছে।  

ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি বাড়ি, ফসলী জমি ও দোকানপাট নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

ভাঙন রোধে দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে আরও বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন এই নৌ চ্যানেল সংলগ্ন বসবাসকারীরা।   

এ ব্যাপারে বাগেরহাট পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাহিদ-উজ জামান জানান, রামপালের মোংলা-ঘষিয়াখালী আন্তর্জাতিক নৌ চ্যানেলের ভাঙন কবলিত স্থান ইতোমধ্যে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব কবির-বিন আনোয়ারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ পরিদর্শন করেছেন। ভাঙন রোধে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।  

রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তুষার কুমার পাল জানান, মোংলা-ঘষিয়াখালী আন্তর্জাতিক নৌ চ্যানেলের বিভিন্ন পয়েন্টে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।  

দ্রুততম সময়ের মধ্যে জিও ব্যাগ ও ব্লক ফেলে ভাঙন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যাতে মানুষের চলাচলের রাস্তা, ফসলী জমি ও বাড়িঘর নিরাপদে রাখা যায়।