দুর্ঘটনার ভয়াবহতা জানালেন গুরুতর আহত কাওসার

পাজরের হাড় ভেঙে যাওয়া কাওসার।

দুর্ঘটনার ভয়াবহতা জানালেন গুরুতর আহত কাওসার

অনলাইন ডেস্ক

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় ট্রেন দুর্ঘটনায় ভয়াবহতা বর্ণনা দিলেন পাজরের হাড় ভেঙে যাওয়া কাওসার। কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ক্যাজুয়ালিটি বিভাগের পুরুষ ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন কাওসার কাতরাতে কাতরাতে বলেন, ‘এত জোরে ধাক্কা খায় যে, মনে হয়েছিল ট্রেন ১০ হাত ওপরে উঠে গেছে। আমার শরীর এক ধাক্কায় ওপরে উঠে নিচে আসনের ওপর আছড়ে পড়ে। ভেবেছিলাম কেউ বোমা মেরেছে।

সোমবার রাত ২ টা ৪৮ মিনিটে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মন্দভাগে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী তূর্ণা নিশীথা ও সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেন দুটির মধ্যে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।

কাওসার জানান, তাঁর বাড়ি হবিগঞ্জের সদর উপজেলার উত্তর শ্যামলী গ্রামে। পেশায় সিএনজি চালিত অটোরিকশার চালক। চট্টগ্রাম যাওয়ার উদ্দেশে গতকাল সোমবার রাতে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ রেল স্টেশন থেকে তিনি উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনের ‘জ’ বগির ৫০ নম্বর আসনে বসেন।

‘ট্রেনটি মন্দভাগ রেল স্টেশনে এলাকায় আসা মাত্র সজোরে ধাক্কা খায়। তখন ভেবেছিলাম, কেউ বোমা মেরেছে! মনে হয়েছিল ট্রেনটি ১০ হাত ওপরে উঠে গিয়ে নিচে পড়েছে। আমার শরীর ওপরে উঠে গিয়ে নিচে আসনের ওপর আছড়ে পড়ে। উদ্ধারকারীরা আসার পর আমার পাশে পড়ে থাকা তিন বছর বয়সী এক মেয়ে শিশুর লাশ তাঁদের হাতে তুলে দিই। পরে আমাকে উদ্ধার করা হয়। তখনই আমি জ্ঞান হারাই। ’

এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় ট্রেন দুর্ঘটনায় তূর্ণা নীশিথার লোকোমোটিভ মাস্টার ও সহকারী মাস্টারকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

ট্রেনটির লোকোমোটিভ মাস্টার সিগনাল ভঙ্গ করায় এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে বলে জানিয়েছেন রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।  

তিনি বলেন, এখানে উদয়নের কোনো ত্রুটি দেখছি না।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)