আকাশপথে পেঁয়াজ আনছি: বাণিজ্যমন্ত্রী

আকাশপথে পেঁয়াজ আনছি: বাণিজ্যমন্ত্রী

মাসুম বিল্লাহ, অস্ট্রেলিয়া থেকে

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী বলেন, ‘ভারত হঠাৎ করে পেঁয়াজ রপ্তানী বন্ধ করে দেওয়ায় দাম অতিরিক্ত বেড়ে গেছে। আমাদের পেঁয়াজের চাহিদা প্রায় ২৫ লাখ মেট্রিক টন। যার মধ্যে ২২ লাখ মেট্রিক টন দেশেই উৎপাদন হয়। কিন্তু সংরক্ষণের অভাবে ২ থেকে ৫ লাখ মেট্রিক টন নষ্ট হয়ে যায়।

ফলে প্রায় সাত লাখ মেট্রিক টন ঘাটতি থেকে যায়। অতীতে সেই পেঁয়াজের জন্য আমরা ভারতের উপর নির্ভরশীল ছিলাম। তারা হঠাৎ করেই রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। ’

সিডনিতে যুবলীগের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে যুবলীগ অস্ট্রেলিয়া শাখার উদ্যোগে আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

সংগঠনের সভাপতি মোশতাক মিরাজের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক-যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নোমান শামীম-অপু সারোয়ারের যৌথ সঞ্চালনায় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মন্ত্রী আরও জানান,  ‘পেঁয়াজ রপ্তানীর সিদ্ধান্তের সময় তিনি ও প্রধানমন্ত্রী দুজনই দিল্লীতে ছিলেন। তারা ভারত সরকারকে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ না করার জন্যও বিশেষভাবে অনুরোধ করেছিলেন। তারা আশ্বাস দিয়ে জানিয়েছিল আপাতত যেগুলো এলসি খোলা হয়েছে তা রপ্তানী হবে এবং পরে মহারাষ্ট্রের নির্বাচনের পরে রপ্তানী বন্ধের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হবে। কিন্তু নির্বাচনের পরে দেশে পেঁয়াজের সঙ্কট দেখা দেয়। পেঁয়াজ সংকটের সময় কিছু অসৎ ব্যবসায়ী সুযোগ নেবার চেষ্টা করেছে, যা আমরা বর্তমানে বিভিন্ন অভিযান চালানোর মাধ্যমে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করছি। সংকট নিরসনে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। আকাশপথে পেঁয়াজ আনছি, দাম নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় ভর্তুকিও প্রদান করা হবে। ’

‘এখন আমাদের লক্ষ্য হবে, আগামী তিন বছরের মধ্যে যেন পেঁয়াজ উৎপাদনে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারি। এ ব্যাপারে আমি কৃষি মন্ত্রীর সাথেও কথা বলেছি, তিনিও প্রয়োজনীয় সাহায্য করতে রাজি হয়েছেন। ’

এ ছাড়াও তিনি তার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের অভিজ্ঞতা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবএবং যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ ফজলুল হক মনির সাথে তার ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণ করেন।

সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন, অস্ট্রেলিয়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আবুল হাসনাৎ মিল্টন।

আরো বক্তব্য দেন- অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের মান্যবর রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সুফিউর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা
শফিকুল আলম, ডা. লাভলি খন্দকার, নির্মাল্যতালুকদার, কলামিস্ট ড. শাখাওয়াৎ নয়ন, প্রমুখ।

আলোচনা সভার শুরুতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব, শেখ ফজলুল হক মনি, মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয় এবং বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি করেন ফাহাদ আসমার, আরিফুর রহমান এবং আইভি রহমান।

সভায় উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এনাতুর রহমান বেলাল, এমদাদ হক, মশিউর রহমান হৃদয়, মো. মুনীর হোসেন, জামির আহমেদ, মহিউদ্দিন মহি, আলি আশরাফ হিমেল, ওবায়দুর রহমান, এলিজা টুম্পা, বীর খান সহঅস্ট্রেলিয়া আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ। মিলন মেলা মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও নৈশ ভোজের মাধ্যমে শেষ হয়।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)