বাবার বিরুদ্ধে যৌন হেতস্থার অভিযোগ এনে তাকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে পালিত মেয়ে ও তার প্রেমিক। গত ২৭ নভেম্বর ভারতের মুম্বাইয়ের দ্বারকা কুঞ্জে এ ঘটনা ঘটে।
খুনের শিকার বাবার নাম বেনেট রিবেলো (৫৯)। তিনি পেশায় গিটার বাদক।
সূত্র জানায়, বেনেটকে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে ও ছুরি গিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে আরাধ্যা ও তার প্রেমিক। মৃত্যু নিশ্চিত করতে মুখে মশা মারার ওষুধ স্প্রে করে। বেনেট মারা যাওয়ার পর তার মরদেহ টুকরো করে অভিযুক্তরা।
ভারতীয় গণমাধ্য আনন্দবাজার জানায়, ওই অবস্থায় দেহ তিন দিন ফ্ল্যাটেই ছিল। অভিযুক্তরাও ওই ফ্ল্যাটে ছিল। পরে মরদেহের টুকরোগুলো তিনটি সুটকেসে ভরে স্থানীয় মিঠি নদীতে ভাসিয়ে দেয় তারা।
সুটকেসে ভরা পচাগলা দেহাংশগুলো জড়ানো ছিল একটি সোয়েটারে। যে দোকান থেকে সোয়েটারটি বানানো তার নাম লেখা ছিল পিঠে লাগানো ট্যাগে। সেই সূত্র ধরেই হত্যা-রহস্যের উদঘাটন হলো।
পুলিশ জানিয়েছে, দেহাংশগুলো জড়িয়ে রাখা সোয়েটারটিই ছিল তাদের হাতে থাকা একমাত্র সূত্র। সোয়েটারে লাগানো ট্যাগ থেকে জানা যায়, সেটি কুরলা এলাকার একটি দোকান থেকে বানানো। সেই দোকানে গিয়ে দর্জির সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পারে, সোয়েটারটি বানিয়েছিলেন বেনেট রিবেলো নামে এক ব্যক্তি। এরপরে পুলিশ সোশ্যাল মিডিয়ায় খোঁজ শুরু করে বেনেটের। ফেসবুকে ওই নামের প্রোফাইল খুঁজতে থাকে।
একটি প্রোফাইলে দেখা যায়, একই সোয়েটার পরা বেনেটের ছবি। সেখান থেকে তার ভিজিটিং কার্ডের ছবিও পাওয়া যায়। সেই সূত্র ধরে দ্বারকা কুঞ্জের বাড়িতে হাজির হয় পুলিশ।
জানতে পারে, বেনেট একটি কন্যাসন্তান দত্তক নিয়েছিলেন। তারপরই আরাধ্যা ওরফে রিয়া ও তার প্রেমিককে আটক করে জেরা শুরু করে। জেরায় দুই অভিযুক্ত দোষ স্বীকার করে।
আরাধ্যা জানায়, বেনেট তাকে যৌন হেনস্থা করতেন। সেই ক্ষোভ থেকেই বাবাকে খুন করে সে ও তার প্রেকিম।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)
