আবারো গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন কিংবদন্তি চলচ্চিত্র অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান। ভাইরাল অ্যাটাকের কারণে তিনি স্বাভাবিকভাবে খেতে এবং কারো সঙ্গে কথাও বলতে পারছেন না। গতকাল শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে তাকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ভর্তি করা হয়েছে।
এটিএম শামসুজ্জামানের মেয়ে কোয়েল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, হঠাৎ করে বাবা চলাফেরা করতে পারছেন না এবং কারো সঙ্গে কথাও বলতে পারছেন না।
তাই দ্রুত ওনাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।তার বড় মেয়ে কস্তুরি দু’দিন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তিনি স্টোক করেছেন। ধারণা করা হচ্ছে মেয়ের অসুস্থতার খবর শুনে এটিএম শামসুজ্জামান অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
এর আগে গত ২৫ নভেম্বর এটিএম শামসুজ্জামানকে বিএসএমএমইউ’তে ভর্তি করা হয়েছিল। তবে গত ৮ ডিসেম্বর তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে থেকে ২০১৭ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের ‘আজীবন সম্মাননা’ পুরস্কার গ্রহণ করেন।
এদিকে চলতি বছরের ২৬ এপ্রিল গ্যাস্ট্রিক এবং মলত্যাগজনিত সমস্যার কারণে এটিএম শামসুজ্জামানকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তখন তার অবস্থা অবনতির দিকে গেলে জরুরি ভিত্তিতে অস্ত্রোপচার করা হয় এবং লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়।
প্রায় চার মাস চিকিৎসা নিয়ে গত ২৯ আগস্ট রাজধানীর বসুন্ধরায় মেয়ের বাসায় ওঠেন এটিএম শামসুজ্জামান। সেখানেই তিনি এতদিন বসবাস করছিলেন।
১৯৪১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর দৌলতপুরে এটিএম শামসুজ্জামান জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬১ সালে উদয়ন চৌধুরীর ‘বিষকন্যা’ সিনেমায় সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করে ক্যারিয়ার শুরু করেন তিনি। প্রথম চিত্রনাট্যকার হিসেবে তিনি কাজ করেছেন ‘জলছবি’ সিনেমায়। এ পর্যন্ত শতাধিক চিত্রনাট্য ও কাহিনী লিখেছেন বর্ষীয়ান এ অভিনেতা।
একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য এ অভিনেতার একমাত্র পরিচালিত সিনেমা ‘এবাদত’। এর আগে পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন এ কিংবদন্তি।
কাজী হায়াতের ‘দায়ী কে’ সিনেমার জন্য দুটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পান তিনি। এরপর ‘চুড়িওয়ালা’, ‘মন বসে না পড়ার টেবিলে’ এবং ‘চোরাবালি’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য একই পুরস্কার লাভ করেন এটিএম শামসুজ্জামান।
নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল