পশ্চিমবঙ্গ হাতে আনতে হিন্দু-মুসলিম বিভাজনের খেলা বিজেপির

পশ্চিমবঙ্গ হাতে আনতে হিন্দু-মুসলিম বিভাজনের খেলা বিজেপির

অনলাইন ডেস্ক

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ এবং আসামে বিধানসভা নির্বাচন ২০২১ সালে। এই দুই রাজ্যে ক্ষমতা হাতে আনার জন্য ভারতে হিন্দু এবং মুসলিমদের মধ্যে বিভাজনের খেলায় মেতেছে বিজেপি। কংগ্রেস নেতা তথা সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদম্বরম শনিবার কেরালার রাজধানী তিরুবনন্তপুরমে এক সভায় এমনটাই অভিযোগ করেন। ভারতে সাম্প্রদায়িক বিভাজন সৃষ্টির জন্যই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন তৈরি করা হয়েছে বলে দাবি পি চিদম্বরমের।

এর রেশ ধরেই বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করে চিদম্বরম বলেন, ধর্মের ভিত্তিতে মানুষের মধ্যে ভেদাভেদ সৃষ্টির বিজেপির এই স্বপ্ন কোনোদিনই পূরণ হবার নয়।

সরকার আগুন নিয়ে খেলছে। একইসঙ্গে এর ফলে ভারতের যুব সমাজের ভবিষ্যৎকে অন্ধকারের মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ আনেন তিনি। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে তিরুবনন্তপুরমে রাজভবনের বাইরে 'মহা জনসভা'র আয়োজন করে প্রদেশ কংগ্রেস।

ওই সভার প্রধান বক্তা চিদম্বরমের আক্রমণের হাত থেকে রেহাই পাননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এনআরসি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্বেচ্ছাকৃতভাবে পরস্পর বিরোধী মন্তব্য করে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চাইছেন বলেও অভিযোগ করেনে তিনি।  

ভারতে এনআরসি চালু করা বিজেপির অন্যতম লক্ষ্য, সেটাও তথ্যসহ দাবি করেন চিদম্বরম। ভারতে এনআরসি চালু হলে কী হতে পারে, আসামের সাম্প্রতিক নজির তুলে ধরে সেটাই ব্যখ্যা করার চেষ্টা করেছেন বর্ষীয়ান এই কংগ্রেস নেতা। পি চিদম্বরম বলেন, আসামে এনআরসির ফলে ১৬০০ কোটি টাকা জলে ভেসে গেছে। তালিকা থেকে ইতোমধ্যেই বাদ পড়েছে রাজ্যের ১৯ লাখ বাসিন্দার নাম। ভারতে যদি এনআরসি চালু হয় তাহলে লাখ লাখ মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়বেন।

 

নিউজ টোয়েন্টিফোর/ডিএ