ইরাকে বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বের হওয়ার সময় তার গাড়ি বহরকে হামলার লক্ষ্যবস্তু করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। দুটি আমেরিকান এমকিউ-৯ রিপার ড্রোন দিয়ে এই হামলার ঘটনা ঘটানো হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান ও সাবেক কমান্ডার গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, গোপন তথ্যদাতা, ইলেক্ট্রনিক ইন্টারসেপ্ট, শত্রুপক্ষের অবস্থান শনাক্ত করার বিমান ও অন্যান্য নজরদারি ব্যবস্থার আশ্রয় নেওয়া হয়েছে এ ঘটনায়।
৯/১১ হামলার পর অস্ত্র হিসেবে ড্রোনই ব্যবহার করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র।
প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সময় সেটা আরও সম্প্রসারিত হয়। ট্রাম্প সেটাকেই বাড়িয়ে নতুন মাত্রা যোগ করেছেন। মার্কিন বিচার মন্ত্রণালয়ের ফাঁস হওয়া আইনি নথিতে দেখা যায়, উপস্থিতি অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে হোয়াইট হাউস কাউকে ড্রোন হামলা চালিয়ে হত্যার নির্দেশ দিতে পারে।ঘটনা অনুযায়ী, বিমানবন্দর থেকে গাড়ি বহর বের হওয়ার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই হামলার ঘটনা ঘটেছে।
যদি এই ড্রোন কুয়েতের সবচেয়ে কাছের বিমান ঘাঁটি থেকেও উড়ে আসে তবুও গন্তব্যে পৌঁছাতে অন্তত ৫৭০ কিলোমিটার উড়তে হবে সেটা। এমকিউ-৯ রিপার ড্রোন দিয়ে এমনটা সম্ভব। এই ড্রোনের পাল্লা ১ হাজার ৮০০ কিলোমিটার এবং এটির সর্বোচ্চ গতি ৪৮০ কিলোমিটার। গোয়েন্দা তথ্যের উপর ভিত্তি করেই বড় অভিযানের জন্য এই ড্রোন ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ২০১৯ সালের মার্চে এসে ওবামা আমলের নীতি প্রত্যাখ্যান করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এতে যুদ্ধাঞ্চলের বাইরে কতজনকে ড্রোন হামলায় হত্যা করা হলো সেটার সংখ্যা প্রকাশ করতে হতো।
ইরানের বিপ্লবী গার্ডস বাহিনীর বিদেশি অভিযানের দায়িত্ব আল-কুদস ফোর্সের উপর। ৬২ বছর বয়সী নিহত কাশেম সোলাইমানি ছিলেন এই বাহিনীর প্রধান। হামলায় বিপ্লবী গার্ডসের ৫ ও হাশেদের ৫ সেনা নিহত হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র তাকে হত্যার পরিকল্পনা করছে জেনেও একেবারে সাধারণ জীবন যাপন করতেন সোলাইমানি। তবে তিনি অত্যন্ত কড়া নিরাপত্তা নিয়ে চলাফেরা করতেন।
নিউজ টোয়েন্টিফোর/ডিএ