দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপের হামলায় মরত ৫০০০ মার্কিন সেনা

দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপের হামলায় মরত ৫০০০ মার্কিন সেনা

অনলাইন ডেস্ক

ইরানের মসজিদের মিনারে মিনারে রক্তলাল ‘যুদ্ধপতাকা’ উড়িয়ে প্রতিশোধের ইঙ্গিত দিয়েছেন দেশটির জনগণ। তার প্রমাণও রাখল দেশটি। সোলাইমানির হত্যার প্রতিশোধ নিতে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত ইরান সোলাইমানির জানাজার আগে ইরাকে দুটি মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা চালায়। এতে ৮০ মার্কিন সেনা নিহত হয়।

সেদিনের হামলার বর্ণনা দেন ইরানের আইআরজিসি'র অ্যারোস্পেস ফোর্সের প্রধান আমির আলী হাজিযাদেহ। তিনি বলেন, মার্কিন বাহিনী সেদিন (বুধবার) সতর্ক ছিল, তারা হামলার আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন ছিল।

অ্যারোস্পেস ফোর্সের প্রধান আমির আলী হাজিযাদেহ বলেন, ইরাকের দুটি মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বহু মার্কিন সেনা হতাহত হয়েছে। তবে আমরা চাইলে প্রথম ধাপেই পাঁচশ' মার্কিন সেনাকে হত্যা করতে পারতাম।

কিন্তু আমরা তা করিনি।

প্রথম ধাপের হামলাটি ব্যাপক সংখ্যায় মার্কিন সেনা হত্যার লক্ষ্য নিয়ে করা হয়নি। তাদের ছাড় দেওয়া হয়েছে।

আইআরজিসি'র ক্ষেপণাস্ত্র বিভাগের প্রধান কমান্ডার আরও জানান, আমেরিকা যদি পাল্টা আঘাত হানার চেষ্টা করতো তাহলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আমরার দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপের হামলা করতাম। এ হামলায় চার থেকে পাঁচ হাজার মার্কিন সেনা প্রাণ হারাতো বলে জানিয়েছেন তিনি।

‌মার্কিনিরা থাপ্পড় খাওয়ার পর তারা কিছুটা শান্ত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার আগ পর্যন্ত আমেরিকার ১২টি বিমান ও ড্রোন সব সময় ইরাকের আকাশে নানা তৎপরতা চালাচ্ছিল। তারা আমাদের চপেটাঘাতের অপেক্ষায় ছিল। থাপ্পড় খাওয়ার পর তারা কিছুটা শান্ত হয়েছে। ’

মার্কিন সেনারা কাবু হওয়ার ব্যাপারে তিনি জানান, মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ১৫ মিনিট পর আমরা ইলেকট্রনিক যুদ্ধ পরিচালনা করি। ফলে আমেরিকার ড্রোন ও বিমানগুলো কয়েক মুহূর্তের জন্য নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ে।

ইরাকে মার্কিনিদের দুই ঘাঁটিতে হামলাকে ‘শহীদ সোলাইমানি’ নাম দেওয়া হয়েছিল উল্লেখ করে ইরানের এই জেনারেল বলেন, আমরা ‘শহীদ সোলাইমানি’ নামের যে অভিযান শুরু করেছিলাম তা ছিল একটি বৃহৎ অভিযান। এই অভিযানের কয়েকটি ধাপ ছিল। আমরা যদি অভিযান অব্যাহত রাখার প্রয়োজন অনুভব করতাম তাহলে তা গোটা অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়তো। পশ্চিম এশিয়া তথা মধ্যপ্রাচ্যের সর্বত্রই এই অভিযান চলতো। অনেক বিষয় ভেবে হামলা সীমিত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)