রুটি খাওয়া নিয়ে শঙ্কায় পাকিস্তানিরা!

পাকিস্তানে বেড়েই চলেছে আটার দাম। দুঃশ্চিন্তায় সরকার।

রুটি খাওয়া নিয়ে শঙ্কায় পাকিস্তানিরা!

অনলাইন ডেস্ক

পাকিস্তানের অধিকাংশ মানুষের প্রধান খাবার বলা যায় রুটি। সেই রুটি খাওয়া নিয়ে শঙ্কা! আকাশচুম্বী আটার দাম ভাবিয়ে তুলেছে পাকিস্তান সরকারকেও। এছাড়া দাম বেড়েই চলেছে। এক মাসের ব্যবধানে বেড়েছে কেজিতে প্রায় ২০ রুপি।

বিশ্লেষকরা বলছেন, অর্থনীতি ভালো থাকলে দামটা খুব বেশি সমস্যা করতো না। কিন্তু, পাকিস্তানের অর্থনীতির অবস্থা অনেক দিন ধরেই ভালো যাচ্ছে না। বর্তমানে ডলারের বিপরীতে পাকিস্তানি মুদ্রার বিনিময় হার ১৫৪ রুপির উপরে। এ নিয়ে মহা চিন্তায় ইমরান খানের সরকার।

তার মধ্যে আবার এসে জুটেছে নতুন সমস্যা। পাকিস্তানের আটার আকাশছোঁয়া দামে চিন্তিত সরকার। কিছুদিন আগে পর্যন্ত টমেটো পাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগেছেন পাকিস্তানের জনগণ। এবার আলোচনার কেন্দ্রে আটা। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, ইমরানের দেশের বেশিরভাগ জায়গায় এক কিলো আটার দাম ৬২ টাকা। গত এক সপ্তাহেই আটার দাম কিলো প্রতি বেড়েছে পাঁচ টাকা।  

পাকিস্তান টুডে'র খবরে বলা হয়েছে, শুক্রবার সপ্তাহে দ্বিতীয়বারের মতো আটার দাম প্রতি কেজিতে ছয় রুপি বৃদ্ধি পায়। লাহোর, করাচি এবং অন্যান্য শহরে প্রতি কেজি আটা বিক্রি হচ্ছে ৭০ রুপি। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, মাসখানেক আগেও করাচিতে দশ কেজি আটার দাম ছিল ৪৫০ রুপি। কেজি বিক্রি হয়েছে ৪৫ রুপিতে। এখন এক কেজি আটা ৬৭ থেকে ৭০ রুপিতে বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, গমের দাম আচমকাই লাফিয়ে বেড়েছে। ফলে এমন মূল্যবৃদ্ধি।
ফ্লোর মিল অ্যাসোসিয়েশন বলছে, সরকারের ভর্তুকির অভাবে আটার দাম বাড়ছে।

লাহোরের একটি প্রথম সারির দৈনিকের খবর অনুযায়ী, শনিবার ইমরান খান রাজ্য সরকারকে খাদ্য দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধিতে লাগাম টানার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এদিকে রেস্তোরাঁ মালিকরা সোমবার থেকে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। সরকারের কাছে তাদের দাবি, পুরনো মূল্যে আটা সরবরাহ করতে হবে। না হলে রুটি ও নান-এর দাম অস্বাভাবিক বাড়িয়ে দিতে বাধ্য হবেন তারা। ইমরানের সরকার অবশ্য বলছে, গমের দাম বাড়ার খবর ভুয়া। সরকারি গুদামে চার মিলিয়ন টন গম মজুত রয়েছে। ফলে এমনভাবে লাফিয়ে দাম বাড়ার কোনও যুক্তি নেই।