দেশে করোনা ভাইরাস সনাক্ত হলে রাজধানীর চারটি হাসপাতালে রোগী ভর্তি করা হবে। হাসপাতালগুলো হলো- সরকারি কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, মহাখালী সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল, উত্তরার কুয়েতমৈত্রী হাসপাতাল ও সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, ঢাকা। এ তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ।
আরও জানান, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশি হলে অন্যান্য হাসপাতালেও ভর্তি রেখে সেবা দেওয়া হবে।
দেশে নভেল করোনা ভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) ল্যাবরেটরিতে অর্ধশতাধিক চীন ফেরত যাত্রীর লালার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়নি।
রোগী শনাক্ত না হলেও আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে রাজধানীসহ সারাদেশের সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও জেলা সদর হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ড প্রস্তুুত রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে আগাম বেশ কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমণের ঝুঁকি থাকায় প্রথমে শুধুমাত্র চীনফেরত যাত্রীদের থার্মাল স্ক্যানার ও হ্যান্ডহেল্ড ইনফ্রারেড থার্মোমিটারে যাত্রীদের (জ্বরমাপা) স্ক্রিনিং করা হলেও বর্তমানে দেশের সকল আকাশ, নৌ, স্থল ও সমুদ্রবন্দর দিয়ে প্রবেশকারী যাত্রীদের স্ক্রিনিং শুরু হয়েছে।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইটে ৩১২ জন বাংলাদেশিকে চীনের উহান থেকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তাদের মধ্যে বর্তমানে ১১ জন সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ও অবশিষ্ট ৩০১ জন রাজধানীর আশকোনা হাজি ক্যাম্পে কোয়ারান্টাইনে রয়েছেন। তাদের কয়েকজনের নমুনা পরীক্ষা করা হলেও তাদের কেউ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত নন। এ ছাড়াও চীনফেরত চীনা নাগরিকেদের কাছ থেকে বাড়িতে ১৪ দিন আত্মবন্দি রাখার অঙ্গীকারনামা রাখা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, এখনও পর্যন্ত করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে গৃহীত ব্যবস্থা সন্তোষজনক। এখনও পর্যন্ত পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)
