গত ২২ এপ্রিল ময়মনসিংহ নগরীর এস.কে (সূর্য্য কান্ত) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় আরাফাত হোসেন (১৭) নামের এক কিশোর। কিন্তু করোনা সন্দেহের কারণে লাশ নেয়নি পরিবার। যদিও মৃত্যুর পর নমুনা পরীক্ষায় আরাফাতের শরীরে কোভিড-১৯ ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। এরপরও ৪৩ দিন যাবত ময়মনসিংহ মেডিকেলের হাসপাতালের হিমঘরে পরে রয়েছে ওই কিশোরের লাশ।
কোতোয়ালী মডেল থানা-পুলিশের এসআই আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, আরাফাতের বাবার এক আবেদনের প্রেক্ষিতে গতকাল বুধবার লাশ দাফনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে নগরীর ভাটিকাশর গোরস্থানে লাশ দাফনের সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি জানান, ধর্মীয় নিয়মানুযায়ী মরদেহ দাফনের সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, আরাফাত ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার চরপাড়া এলাকার চড়ুতলা গ্রামের মজনু মিয়ার সন্তান। গত এপ্রিলের ২০ তারিখ করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে সে নগরীর এস.কে হাসপাতালে ভর্তি হয়। এর দুই দিন পরই সে মারা যায়। মৃত্যুর পর তার শরীর থেকে নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করা হলে ফলাফলও নেগেটিভ আসে। এরপরও মৃত আরাফাতের মরদেহ তার পরিবার গ্রহণ না করায় মরদেহ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়।
মৃত্যুর ৪২ দিন পর গতকাল বুধবার আরাফাতের বাবা কোতোয়ালী থানায় লিখিতভাবে লাশ গ্রহণের অনিচ্ছা জানায়। পরিবার এবং এলাকাবাসীর নিরাপত্তার কথা ভেবে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করেন আরাফাতে বাব মজনু মিয়া।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)
