ব্যক্তিগত সহকারীর হাতেই খুন হন ফাহিম সালেহ

ব্যক্তিগত সহকারীর হাতেই খুন হন ফাহিম সালেহ

অনলাইন ডেস্ক

বাংলাদেশের রাইড শেয়ারিং অ্যাপ পাঠাওয়ের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ফাহিম সালেহ হত্যায় জড়িত ব্যক্তি কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকান টাইরেস ডেভোন হ্যাসপিল (২১)। এরই মধ্যে তাকে গ্রেপ্তার করেছে নিউ ইয়র্ক পুলিশ। নিউইয়র্কের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম স্থানীয় পুলিশের বরাত দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

টাইরেস ফাহিমের ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে কাজ করত।

ফাহিমের অ্যাকাউন্ট থেকে লাখ ডলার চুরি করেছিল টাইরেস। বিষয়টি জেনেছিলেন ফাহিম। সেই অর্থ ফেরত দেওয়ার একটি সমঝোতা করে টাইরেস ফাহিমের ফার্ম ছেড়েছিল। তবে পরবর্তীতে টাইরেস চুরি করা অর্থ ফিরিয়ে দেওয়ার অঙ্গীকার পালন করেনি।

তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, ফাহিমের পিছু নিয়ে কালো পোশাকে যে ব্যক্তি ওই ভবনের এলিভেটর দিয়ে ফাহিমের অ্যাপার্টমেন্টের সামনে পর্যন্ত গিয়েই আঘাত করেছে বলে সিসিটিভিতে দেখা গেছে, সেই ব্যক্তি অর্থাৎ ঘাতকটি হচ্ছে টাইরেস। আর্থিক ফায়দা হাসিলের জন্যই ফাহিমকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে তদন্ত কর্মকর্তারা মনে করছেন। তবে এমন নৃশংসতার নেপথ্যে কারও মদদ আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিকে ফাহিমের লাশ আজকের মধ্যে পাওয়া গেলে কাল দাফন করা হবে।

নিউইয়র্ক সিটির লোয়ার ম্যানহাটানে অভিজাত শ্রেনির একটি ভবনের সপ্তম তলায় ২.২৫ মিলিয়ন ডলারে কেনা অ্যাপার্টমেন্টে ১৩ জুলাই খুন হন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফাহিম সালেহ। তারপরই খুনের মোটিভ উদ্ঘাটন ও ঘাতককে গ্রেপ্তার করতে মাঠে নামে পুলিশ। ওই ভবনের সিসিটিভিতে দেখা গেছে, জগিং শেষে ভবনের নিচতলা থেকে ইলেভেটরে সপ্তম তলায় ওঠার সময় ফাহিমের পেছনেই কালো পোশাক পরিহিত এক ব্যক্তি স্যুটকেস হাতে ছিলেন। এদিকে মেডিকেল এক্সামিনার অফিস থেকে বৃহস্পতিবার বলা হয়েছে, ফাহিমের বুকে, গলা ও ঘাড়ে বেশ কয়েকবার ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এভাবেই তাকে হত্যার পর বৈদ্যুতিক করাত দিয়ে দেহ খন্ড খন্ড করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ফাহিমের পালিত কুকুর ছিল অ্যাপার্টমেন্টে। তবে তাকে আলাদা রুমে আটক করা অবস্থায় পাওয়া গেছে। ফাহিমের খন্ডবিখন্ড দেহ পলিথিনের ব্যাগে ভরে রাখার দৃশ্য দেখে সেই কুকুরটি গগনবিদারী চিৎকার দেয় এবং পরক্ষণেই নীরব হয়ে যায় বলে ওই এলাকার এক ব্যক্তি জানান।

এদিকে রাইড শেয়ারিং জগতে খ্যাতি অর্জনকারী ‘পাঠাও’ এবং ‘গোকাডা’র জনক ফাহিমের আত্মার শান্তি কামনায় যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন সিটিতে ফাহিমের ভক্ত-অনুরাগী এবং ঘনিষ্ঠজনরা ভার্চুয়াল দোয়া-মাহফিলে মিলিত হচ্ছেন। ফাহিমের লাশ আজকের মধ্যে পাওয়া গেলে কাল পকিস্পিতে মুসলিম গোরস্থানে দাফন করা হবে। করোনা পরিস্থিতির কারণে লোকসমাগম এড়িয়ে চলার চেষ্টা করা হচ্ছে।

নিউজ টোয়েন্টিফোর / সুরুজ আহমেদ