আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কুমিল্লার হোমনায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে টেঁটাবিদ্ধ হয়ে নূরুন নবী (২৯) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় কমপক্ষে আটজন আহত হয়েছেন।
বুধবার (১২ আগস্ট) ভোরে উপজেলার দৌলতপুর (মিঠাইভাঙা) গ্রামে সামাদ মেম্বার গ্রুপ এবং জুনা আলী ভূঁইয়া গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে।
নিহত নূরুন নবী, হোমনা উপজেলার দুলালপুর ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের জীবন মিয়ার ছেলে।
আহতদের মধ্যে সামাদ মেম্বার (৬৯), তার ভাই আবদুল করিম (৬৫) ও একই গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমকে (২২) টেঁটাবিদ্ধ অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় লোকজন জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুলালপুর ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি সামাদ মেম্বার এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সদস্য জুনা আলী গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলছিল। কিছুদিন আগে অগ্নিকাণ্ডে জুনা আলীর একটি ঘর পুড়ে যায়। এতে প্রতিপক্ষকে দোষারোপ করা হয়।
বুধবার ভোরে জুনা আলী তার দলবল নিয়ে গ্রামে প্রবেশ করেন। এ সময় প্রতিপক্ষের সঙ্গে জুনা আলীর গ্রুপের টেঁটাযুদ্ধ হয়। এতে জুনা আলী গ্রুপের নুরুন নবী মারা যান। আহত হন আরও অন্তত আট জন।
হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কায়েস আকন্দ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, মরদেহটির ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রায় ৩৫-৪০ বছরের এই দ্বন্দ্বে বিভিন্ন সংঘর্ষে এ পর্যন্ত একাধিক ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছেন। গত কয়েকদিন আগেও উভয়পক্ষের বিরোধ মিমাংসা করতে আমরা বসেছিলাম, কিন্তু বিরোধ নিষ্পত্তি হয়নি। সংঘর্ষ ও হত্যার ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
নিউজ টোয়েন্টিফোর/নাজিম
