১৯৯৭-এ মুক্তি পেয়েছিল শাহরুখ খান, মহিমা চৌধুরি অভিনীত এবং সুভাষ ঘাই পরিচালিত ‘পরদেশ’ ছবি। যার নির্মাণ ব্যায় ছিলো ১০ কোটি টাকা এবং আয় ছিলো ৩৪ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। আর এই ‘গডাফাদার’ সুভাষ ঘাইয়ের হাত ধরে বলিউডে প্রবেশ করেছিলেন মহিমা চৌধুরি। সেই গডাফাদারের বিরুদ্ধেই বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন এই নায়িকা।
তার অভিযোগ, নানা ভাবে ভয় দেখাতেন সুভাষ ঘাই। তাঁর জন্য বলিউডে একাধিক ছবিও হাতছাড়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন মহিমা।এক সাক্ষাৎকারে, মহিমা অভিযোগ করেন, ‘পরদেশ’-এর মুক্তির পর তিনি অন্য সিনেমার অফার পেয়েছিলেন। যার মধ্যে একটি রামগোপাল ভার্মা পরিচালিত ‘সত্যা’-ও ছিল।
মহিমার এই অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে হাসিতে উড়িয়ে দিয়েছেন সুভাষ ঘাই। বলেছেন, “শুনে মজা পেলাম। মহিমা এখনও আমার খুব ভালো বন্ধু। কিছুদিন আগেও আমাকে মেসেজ করেছিল। বলেছিল, ২৩ বছর পরও কোনও অনুষ্ঠানে গেলে তাঁকে ‘পরদেশ’-এর গান দিয়ে অভ্যর্থনা করা হয়। হ্যাঁ, ১৯৯৭-এ ‘পরদেশ’-এর মুক্তির পর একটা ছোট্ট ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। চুক্তি লঙ্ঘন করার জন্য আমার কোম্পানি ওকে আইনি নোটিস পাঠিয়েছিল। তবে মিডিয়া ও বলিউডে বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি হওয়ায় আমি নোটিস ফিরিয়ে নিয়েছিলাম। আর আমার প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে মহিমার চুক্তি শেষ করে দিয়েছিলাম। তিন বছর পর মহিমা পরিবারের সঙ্গে আমার বাড়িতে এসেছিল। নিজের আগের ব্যবহারের জন্য ক্ষমাও চেয়েছিল। আমিও ওকে ক্ষমা করে দিয়েছিলাম। তারপর আমরা আবার বন্ধু হয়ে যাই। আমার মনে হয় আমাদের জীবনে এমন ছোটখাটো ঘটনা ঘটেই থাকে। এটাই তো জীবনের নিয়ম। ”
নিজেদের বন্ধুত্বের প্রমাণস্বরূপ সুভাষ জানান, পরবর্তীকালে তাঁর পরিচালিত ছবি ‘কাঁচি দ্য আনব্রেকেবেল’-এ বিশেষ চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন মহিমা চৌধুরি।
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন
নিউজ টোয়েন্টিফোর / সুরুজ আহমেদ