কাজের প্রলোভন দেখিয়ে এক গৃহবধূকে ধর্ষণ করেন আজাদ জমাদ্দার (৪৫) নামের এক ব্যক্তি। ধর্ষণের সেই ভিডিও মোবাইল ফোনে গোপনে ধারণ করেন তার ছেলে শামীম জমদ্দার (২০)। পরে সেই ভিডিও দেখিয়ে ছেলে ও তার বন্ধুরা মিলে গণধর্ষণ করেন ওই গৃহবধূকে।
গত শুক্রবার ঢাকার দোহার উপজেলানর মধ্যলটাখোলা বিলেরপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় শনিবার ভুক্তভোগী নারী দোহার থানায় পাঁচজনকে আসামি করে একটি ধর্ষণ মামলা করে। এরপর মধ্যলটাখোলা গ্রামের আজাদ জমাদ্দার, ছেলে শামীম জমদ্দার ও ধর্ষণের সহযোগী নুরু বয়াতীকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে দোহার থানা পুলিশ।
মামলা সূত্রে জানা যায়, নুরু বয়াতি ওরফে পেট্রোল বয়াতি গৃহবধূকে বিয়ে বাড়িতে রান্নার কাজে সহায়তা করার কথা বলে আজাদ জমাদ্দারের বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে গৃহবধূকে ধর্ষণ করেন ওই ব্যক্তি।
মামলা সূত্রে আরও জানা যায়, পরে শামীম ও তার বন্ধুরা গৃহবধূকে পুকুর থেকে তুলে নিয়ে নির্জন স্থানে নিয়ে গণধর্ষণ করেন।
ভুক্তভোগী ওই নারী পরিবারের এক সদস্য বলেন, ‘আমার দেবর তার স্ত্রীর কোনো খোঁজ-খবর রাখেন না। পেটের দায়ে সে মানুষের বাড়িতে কাজ করে খায়। তার একটি সন্তান রয়েছে। এমন একটি ঘটনা ঘটবে আমরা কল্পনাও করিনি। আমরা এর উপযুক্ত শাস্তি দাবি করছি। ’
এলাকাবাসী জানান, আজাদ জমাদ্দারের বিরুদ্ধে মাদক সেবন ও বিক্রির অভিযোগ রয়েছে এবং তিনি একাধিকবার জেলও খেটেছেন। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে তার স্ত্রী দুই সন্তান নিয়ে বাবা বাড়ি ফরিদপুর চলে গেছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দোহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (তদন্ত) মো. আরাফাত হোসেন বলেন, ‘এই ঘটনায় পাঁচজনকে আসামি করে দোহার থানায় একটি ধর্ষণ মামলা হয়েছে। আমরা তিনজন আসামিকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছি এবং বাকি আসামিদেরকেও দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে। ’
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)