ফেসবুকে ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুলে নিজেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) পরিচয় দিয়ে ২৭ জন নারীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগে বরগুনায় মোস্তাফিজুর রহমান বাদল নামের এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।
জানা গেছে, ফেসবুকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নাম ব্যবহার করে অ্যাকাউন্ট খুলে প্রতারণা করতেন বাদল।
বাবার পর ছেলে ও তার বন্ধুরা ধর্ষণ করল গৃহবধূকে
গতকাল শনিবার রাতে বরগুনা পৌর শহরের কাঠপট্টি এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। মোস্তাফিজুর রহমান বাদলের বাড়ি বরগুনা সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের চরকগাছিয়া এলাকায়।
তিনি ওই এলাকার মজিদ দফাদারের ছেলে। কাঠপট্টি এলাকায় তার ফার্মেসির ব্যবসা রয়েছে।পুলিশ জানায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সাঈদের সঙ্গে বাদলের চেহারার কিছুটা মিল আছে। এ সুযোগ নিয়ে আবু সাইদ নাম ব্যবহার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পরিচয়ে আটক ব্যক্তি একটি ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে আসছেন।
ভিডিও প্রকাশের ভয় দেখিয়ে ১৭ মাস ধরে নারী আইনজীবীকে ধর্ষণ
সম্প্রতি বিষয়টি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সাঈদের নজরে আসে। তিনি তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে বাদল এ কাজটি করে আসছেন নিশ্চিত হয়ে বরগুনা পুলিশকে বিষয়টি জানান।
গতকাল রাত ৮টার দিকে অভিযান চালিয়ে তার নিজের ওষুধের দোকান থেকে বাদলকে আটক করা হয়।
বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম অরুণ বলেন, ‘প্রতারক বাদল অতিরিক্ত এসপি পরিচয়ে অন্তত ২৭ জন নারীর সঙ্গে ফেসবুকে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং মেসেঞ্জারে আপত্তিকর ছবি-ভিডিও আদান প্রদান করে। ’
মোবাইলে প্রেম, প্রেমিকাকে ডেকে এনে ধর্ষণ করল ছয়জন
আজ রোববার তাকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বরগুনার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সাইদ বলেন, ‘বিষয়টি আমার নজরে আসলে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আমি ওই ব্যক্তি ও তার অবস্থান নিশ্চিত হই। তার বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিধি মোতাবেক মামলা দায়ের করা হয়েছে। ’
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)