নিরাপত্তা আইনে বিরোধী নেত্রীকে অভিযুক্ত করল বেলারুশ

নিরাপত্তা আইনে বিরোধী নেত্রীকে অভিযুক্ত করল বেলারুশ

অনলাইন ডেস্ক

নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্দার লুকাশেঙ্কোর পদত্যাগ দাবিতে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে বিক্ষোভে উত্তাল বেলারুশ।

দেশটিতে চলা সরকারবিরোধী এই বিক্ষোভের অন্যতম নেত্রী মারিয়া কোলেনসিকোভাকে নিরাপত্তা আইনে অভিযুক্ত করা হয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তা লঙ্ঘনে তার বিরুদ্ধে উসকানি দেওয়ার অভিযোগ আনার হয়েছে বলে সংবাদ মাধ্যম বিবিসি সূত্রে জানা গেছে।

তদন্তকারী কমিটি বলছে, মিডিয়া ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে ‘বেলারুশিয়ান জাতীয় নিরাপত্তা ক্ষুন্ন করার উদ্দেশ্যে’ ব্যবস্থা নেওয়ার ডাক দেওয়ায় গত সোমবার অভিযুক্ত করা হয় ওই নারী নেত্রীকে।

এর আগে আইনজীবীর দায়ের করা বিবৃতিতে কোলেনসিকোভা বলেছেন, ‘নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আমাকে যে করেই হোক বেলারুশ থেকে তাড়ানো হবে। তা ছাড়া ২৫ বছর পর্যন্ত আমাকে কারাবন্দি করার হুমকি দেওয়া হয়েছে। ’  

এই গণবিক্ষোভের নেতৃত্বে থাকা তিন নেত্রীর মধ্যে কেবল কোলেনসিকোভা দেশ ছেড়ে যাননি। সম্প্রতি কর্তৃপক্ষ তাকে দেশ থেকে তাড়াতে চাইলে তার পাসপোর্ট ছিড়ে ফেলেন তিনি।

কয়েকজন মুখোশধারী তাকে ইউক্রেনে পাঠাতে জোর করে সীমান্তে নিয়ে গিয়েছিল তাকে। অবশ্য তার দুজন সহযোগীকে ইউক্রেনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।


আরও পড়ুন: হামলা হলে আগ্রাসী বাহিনীকে দাঁতভাঙ্গা জবাব দেয়া হবে: ইরান


গত ৯ আগস্ট প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো বিপুল ভোটে টানা ষষ্ঠ মেয়াদে নির্বাচিত হলে গণবিক্ষোভ শুরু হয়। তার বিরুদ্ধে ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে গত পাঁচ সপ্তাহ ধরে অন্তত ১ লাখ লোক বিক্ষোভ করেছে।

নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর লুকাশেঙ্কোর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও বিরোধী নেত্রী সভেৎলানা তিখানোভস্কায়া লিথুয়ানিয়া পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। আরেক নেত্রী ভেরোনিকা তেপকালোও দেশ ছেড়ে যান।

অবশ্য লুকাশেঙ্কো বহাল তবিয়তে ক্ষমতায় আছেন। কদিন আগে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক ধরপাকড় চলেছে। রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সমর্থনও জুটেছে। মস্কোতে সরাসরি সাক্ষাতের পর দেড় কোটি ডলার ঋণও দিয়েছেন রাশিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান।

নিউজ টোয়েন্টিফোর / সুরুজ আহমেদ