বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে সারাদেশেই বৃষ্টিপাত অব্যাহত আছে। চট্টগ্রামেও হচ্ছে ভারি বর্ষণ। সারা রাতের ভারি বৃষ্টিতে নগরীর নিম্নাঞ্চলে পানি জমেছে। বিশেষ করে নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রকল্পের কাজ চলমান থাকার স্থানগুলোতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে বেশি।
এদিকে, নগরীতে পাহাড়ধসের আশঙ্কায় ঝুঁকিপূর্ণভাবে পাহাড়ে বসবাসরতদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে মাইকিং করছে জেলা প্রশাসন। এ ছাড়া কাট্টলী, আগ্রাবাদ ও বাকলিয়া এলাকায় বিভিন্ন স্কুলে ১৫টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
চট্টগ্রাম আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শেখ ফরিদ আহমদ জানান, আজ সকাল ৯টা পর্যন্ত চট্টগ্রামে ১৭৪ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ শুক্রবার এক পূর্বাভাসে জানিয়েছে, গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংগ্ন এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরো উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে আজ শুক্রবার সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৪৫ কিলোমিটার পশ্চিম অথবা দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৪৫ কিলোমিটার পশ্চিম অথবা দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরো উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়া হবে বলে চীনকে আশ্বস্ত করেছে মিয়ানমার
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপটি কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বাধিক গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের কাছে সাগর উত্তাল রয়েছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এছাড়াও গভীর নিম্নচাপটির প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও চট্টগ্রাম এবং এসব এলাকার অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে তিন থেকে পাঁচ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
news24bd.tv আহমেদ
