চলচ্চিত্রে সরকারি অনুদান নিয়ে অনিয়ম

ফাতেমা কাউসার

চলচ্চিত্রশিল্পে মেধা ও সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করার লক্ষ্য নিয়ে সরকার ১৯৭৬-৭৭ অর্থবছরে অনুদান প্রথা চালু করে। দীর্ঘ চল্লিশ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা এই অনুদানের আরেক নাম এখন অনুযোগ।

অর্থ প্রাপ্তির পর সিনেমার কাজ শেষ না করা, নীতিমালা ভঙ্গ করে তদবিরের সিনেমা অনুদান পাওয়া, সিনেমা হলে মুক্তি না দিয়ে চ্যানেলের কাছে বিক্রি করাসহ অনেক অভিযোগ এখন অনুদানের সিনেমা নিয়ে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন নজরদারির অভাবেই এমন অনিয়ম এখন নিয়মে রূপ নিয়েছে।

 

বাংলাদেশের আবহমান সংস্কৃতিকে সমুন্নত রাখতে জীবনমুখী, রুচিশীল ও শিল্পমানসমৃদ্ধ পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণে অনুদান দিয়ে আসছে সরকার।


আরও পড়ুন: দেশের প্রয়োজনে সেনাবাহিনী সবসময় প্রস্তুত: সেনাপ্রধান


বেশ কয়েক বছর ধরে সরকারি অনুদানের দুয়ার খুলেছে বাণিজ্যিক ঘরানার সিনেমার জন্যও। বেড়েছে অনুদানের অর্থের পরিমাণ। বেড়েছে সিনেমার সংখ্যাও।

তবে টাকা কিংবা সিনেমার সংখ্যা বাড়লেও কমেনি সমালোচনা আর বিতর্ক। সংশ্লিষ্টরা বলছেন কতটি সিনেমাকে কত

টাকা করে অনুদান দিতে পারলো তা যতটা গুরুত্ব পায়, বছর শেষে অনুদানপ্রাপ্ত কোন কোন সিনেমা দেখলো আলোর মুখ তা নিয়ে যেনো কারো কোনো মাথা ব্যাথা নেই।

প্রতিবছরই অনুদানের সিনেমার তালিকা প্রকাশের পর উঠে সমালোচনার ঝড়। শুরু অর্থাৎ ১৯৭৬ থেকে এ পর্যন্ত ১৪১ টি

সিনেমাকে অনুদান দিলেও আলোর মুখ দেখেনি প্রায় অর্ধ শতাধিক ছবি। শুরুর দিকে অনুদানের পরিমাণ ১ লাখের ঘরে থাকলেও বর্তমানে তা ৭০ লাখ ছাড়িয়েছে।

news24bd.tv তুষার

সম্পর্কিত খবর