সারা বছরই খানাখন্দে ভরা থাকে মাদারীপুরের এই সড়কটি

সারা বছরই খানাখন্দে ভরা থাকে মাদারীপুরের এই সড়কটি

নিজস্ব প্রতিবেদক

মাদারীপুরের খাগদী-ধুরাইল-শিবচর আঞ্চলিক সড়কটিতে খানা-খন্দের সৃষ্টি হওয়ায় যাতায়াতে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে হাজার হাজার সাধারণ মানুষ।

সড়কটির একাংশের সংস্কার শেষ হতে না হতেই আরেক অংশে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়। এ কারণে গত ১২ বছর যাবত বন্ধ রয়েছে অভ্যন্তরিন এই রুটের বাস চলাচল।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই সড়ক দিয়ে প্রায় ১৫ ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ যাতায়াত করে।

তবে প্রায় ১২ বছর আগে থেকে এই রুটে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় সাধারণ মানুষ মাহিন্দ্র, ইজিবাইক, অটোভ্যান ও টেম্পুসহ অন্যান্য যানবাহন দিয়ে চলাচল করতে হিমশিম খাচ্ছে।

সড়কের এই বেহাল দশায় সাধারণ মানুষ ও রোগীরা আরো বিপাকে পড়েছেন। দ্রুত এই সড়কটি সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতায় মাদারীপুর সদর উপজেলার খাগদী-ধুরাইল-শিবচর সড়কটি প্রায় ১২ বছর আগ থেকেই যোগাযোগের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

মাঝে মধ্যে মেরামতের কাজ করা হলেও তাতে বাস চলাচলের উপযোগী না হওয়ায় বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।

সূত্র আরো জানায়, খাগদী-ধুরাইল-শিবচর পর্যন্ত প্রায় ৪০ কিলোমিটার সড়কের বিভিন্ন অংশের অবস্থাই খারাপ। হাউসদি বাজার থেকে মিঠাপুর-চরমুগরিয়া পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার সড়কের অবস্থা অত্যন্ত নাজুক হয়ে পড়েছে।

সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় খানা-খন্দের। এই অংশের পিচ ঢালাই উঠে গিয়ে এবড়োখেবড়ো হয়ে পড়েছে সড়কটি। সামান্য বৃষ্টি হলেই সড়কের ওপর পানি জমে। এ ছাড়াও অসুস্থ রোগী নিয়ে এ সড়কে যাতায়াত করতে গিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে স্বজনদের।

মাদারীপুর জেলা শহর ও উপজেলায় যাতায়াতের বিকল্প কোনো পথ না থাকায় বাধ্য হয়ে জনগণকে এই জরাজীর্ণ
সড়ক দিয়েই যাতায়াত করতে হচ্ছে।

এই রুটের অটোরিক্সা চালক শাহ আলম মাদবর জানান, এ রুটে গাড়ি চালালে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ভেঙ্গে যায়। গাড়ির মারাত্মক ক্ষতি হয়। সড়কটি মেরামতের দাবি জানাই।


আরও পড়ুন: শিবচরে আগুনে ১৪ ঘড় পুড়ে ছাই, কোটি টাকার ক্ষতি


ট্রাক চালক সাহেবালী ফকির জানান, জরাজীর্ণ সড়কে ট্রাক চালানোর সময় গাড়ির নিয়ন্ত্রণ ঠিক রাখতে না পারায় প্রায়ই দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়।

দুর্ঘটনার হাত থেকে যানমাল রক্ষার জন্য সড়ক মেরামত করা প্রয়োজন। এই সড়কে আগে যাত্রীবাহী বাস চলাচল করতো। ২০০৮ সাল থেকে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এই সড়কের এক অংশ ভালো থাকলে আরেক অংশ

খারাপ থাকে। এতে করে দুর্ভোগে পড়তে হয়। তাই সড়কটি সংস্কারের দাবি জানাই।

কালিরবাজারের ব্যবসায়ী মোহসিন জানান, ভাঙা-চূড়া সড়ক পথে টেকেরহাট, চরমুগরিয়া বা মাদারীপুর থেকে মালামাল আনা নেওয়ায় খরচ বেশি হয়ে যায়। এতে লোকসানের সম্মুখীন হতে হচ্ছে।

মাদারীপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী বাবুল আখতার জানান, ইতিমধ্যে এই সড়হের সংস্কার কাজ শুরু করা হয়েছে। আশা করি দ্রুতই কাজটি শেষ হবে।

news24bd.tv তৌহিদ

সম্পর্কিত খবর