একটা আর্টিকেলে পড়লাম -হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি সুদীর্ঘ ৭৫ বছর গবেষণা করে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে,
অর্থ নয়, বিত্ত নয়, খ্যাতি নয়, নয় কোনো জাগতিক সফলতা বা প্রাপ্তি!
বরং মানুষকে মূলত সুখী করে এবং মানসিক প্রশান্তির পাশাপাশি শারীরিকভাবে অধিকতর সুস্থ রাখে যা তা হলো- সম্পর্ক, মানুষে মানুষে সম্পর্ক!
জীবনসঙ্গী, সন্তানসন্ততি, বন্ধু, সহকর্মী, আত্মীয়স্বজন, অনাত্মীয়, এমনকি সমাজের যে কোন স্তরের মানুষের সাথে সুসম্পর্ক আমাদের আবেগিক, মানসিক, শারীরিক সবধরণের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে সাহায্য করে।
তবে এই আর্টিকেল পড়ার আগেই আমি তা বুঝে গিয়েছিলাম।
আমি আমার অধিকাংশ সময় ব্যয় করি আমার বাচ্চাকাচ্চা, তাদের বাবা, আত্মীয়স্বজন, সহকর্মী, বন্ধুবান্ধব, ছাত্র-ছাত্রী, অনাত্মীয়দের জন্য, আর কিছুটা সময় নিজের জন্য।
আমার বাচ্চাকাচ্চার ভবিষ্যতে কেমন হবে জানি না, কিন্তু এখন পর্যন্ত তারা খুব মানুষ প্রিয়, খুব ওয়েলকামিং।
তো, বাচ্চাকাচ্চাকে মানবিক সম্পর্ক বোঝাতে আমরা যা করতে পারি-
শিশুদের নিয়ে শুধু রেস্টুরেন্ট, সিনেপ্লেক্স না গিয়ে আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব, সহকর্মীদের বাড়ি বেড়াতে যেতে পারি।
সেইসব বাসার বাচ্চাদের সাথে বন্ধুত্ব, দৌড়াদৌড়ি, সত্যিকার খেলাধুলা ইত্যাদিতে উৎসাহিত করতে পারি।
বাচ্চার দাদাবাড়ি, নানাবাড়ি দুই বাড়ির সাথে সুষম সম্পর্ক বজায় রাখতে চেষ্টা করতে পারি।
শ্বশুরবাড়ির সাথে আপনার নিজের সম্পর্ক যদি খুব ভালোও না থাকে, তাও বাচ্চাকাচ্চাকে দাদা-দাদী, নানা-নানী, চাচা, মামা, খালা, ফুপু, মামি চাচিদের সংস্পর্শ, আদর থেকে বঞ্চিত করবেন না।
শিশুর ডিভাইস ব্যবহার, স্ক্রিন টাইম নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রয়োজনে কঠোর হতে হবে।
মোটকথা, সত্যিকার মানবিক সংযোগ তাদেরকে মানবিক করে তোলার কথা, বাকিটা ভবিষ্যৎ জানে।
আরও পড়ুন: স্কুল-কলেজ খুলবে কিনা সিদ্ধান্ত কাল
কাজী তাহমিনা, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক।
news24bd.tv তৌহিদ