বিরোধীয় নাগোরনো-কারাবাখ নিয়ে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে রাশিয়ার মধ্যস্থতায় নতুন করে যুদ্ধবিরতি মঙ্গলবার রাত থেকে শুরু হয়েছে। এদিন থেকেই তিন দেশের মধ্যে চুক্তি কার্যকর হবে। রাশিয়া ইতিমধ্যেই বিরোধীয় অঞ্চলে শান্তিরক্ষী পাঠিয়েছে।
২৭ সেপ্টম্বর থেকে নতুন করে সাবেক দুই সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে চলা সংঘর্ষে আজারবাইজানকে সমর্থন জানিয়েছে তুরস্ক।
মুসলিম বিশ্বের নেতা এরদোগান নাগোরনো-কারাবাখ নিয়ে প্রথম থেকেই বাকুকে সমর্থন করে। এ নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সমালোচনার মুখে পড়েন এরদোগান।আরও পড়ুন: অবৈধ সম্পদের অভিযোগে ফাঁসছেন আরও ২০ এমপি
সর্বশেষ পর্যন্ত যুদ্ধে কারাবাখের দ্বিতীয় বৃহত্তর শহর দখলমুক্ত করে আজারবাইজান। আজেরি সেনাবাহিনীর হামলায় পিছু হটতে থাকে আর্মেনীয় সেনারা।
আজারবাইজান এবং তুরস্ক শুরু থেকেই শান্তিরক্ষী মিশনে তুরস্কের সেনাবাহিনীর উপস্থিতি নিশ্চিত করার বিষয়ে জোর দিয়ে আসছিল। কিন্তু সর্বশেষ চুক্তিপত্রে তুর্কি সেনাবাহিনীর উপস্থিতি নিয়ে কিছু বলা হয়নি। যদিও আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট আলিয়েভ জানিয়েছেন যে শান্তিরক্ষী মিশনে তুর্কি সেনাবাহিনীও থাকবে।
আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে তুরস্ক আসলে বাস্তবিক অর্থে তেমন কিছুই পায়নি।
তবে তুরস্কের সীমান্ত সংলগ্ন আজারবাইজানের ভূখণ্ড নাখচিভান ছিটমহল থেকে আর্মেনিয়ার মধ্য দিয়ে আজারবাইজানের মূল ভূখণ্ডে একটি করিডোর করার অনুমতি দেওয়া হয় এই নতুন চুক্তিতে।
এই করিডোরের মাধ্যমে তুরস্ক থেকে আজারবাইজানে যাত্রী এবং পণ্য পরিবহন অনেক সহজ হবে। আগে স্থল পথে আজারবাইজানে যেতে জর্জিয়ার ওপর দিয়ে কয়েক হাজার কিলোমিটার পথ পারি দিতে হত।
তবে তুরস্কের সবচেয়ে বড় পাওয়া হল বিশ্বজুড়ে তার সামরিক শক্তির প্রদর্শনী। তুরস্ক সিরিয়া, ইরাক এবং লিবিয়ার পরে তুরস্ক আবারও প্রমাণ করল যে আঙ্কারা যার সঙ্গে থাকে তাকে শেষ পর্যন্ত সবকিছু দিয়ে সহযোগিতা করে। আর তুরস্কের অস্ত্র ও রণকৌশলের কাছে ছোটখাট দেশের সেনাবাহিনী দাঁড়ানোর ক্ষমতা রাখে না।
news24bd.tv কামরুল