ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে দেশে ব্যবসা করে যাচ্ছে ফেসবুক, গুগল, ইউটিউব

সুলতান আহমেদ

বড় অংকের ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে দিনের পর দিন বাংলাদেশে ব্যবসা করে যাচ্ছে ফেসবুক, গুগল, ইউটিউবের মতো বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠানগুলো। অবশ্য তাদের কাছ থেকে পর্যাপ্ত ভ্যাট আদায় করতে না পারায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রযুক্তিগত দূর্বলতাকেও দায়ি করছেন অনেকে। আদালতের নির্দেশনা কিংবা সরকারের চাপের পরও বাংলাদেশে এজেন্ট অফিস করতেও কার্পন করছে ভার্চুয়াল দুনিয়ার এসব প্রতিষ্ঠান। যদিও এনবিআরের দাবি, ভ্যাট আদায়ে প্রস্তুত তারা।

 

একসময় নেহায়েত বিনোদন থেকেই মানুষ ভিডিও দেখতো গুগলের সহযোগী ইউটিউবে। তবে সেটি এখন বিনোদনের পাশাপাশি প্রয়োজন হয়েও দাড়িয়েছে। দেশে প্রায় ১০ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারির বড় বাজারে তাই ঝুঁকছে বিজ্ঞাপনদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো। বেসিসের হিসেবে বছরে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার বিজ্ঞাপন যাচ্ছে ভার্চুয়াল জগতে, শতকরা ১৫ শতাংশ হিসেবে যেখান থেকে আদায় হওয়ার কথা প্রায় ৩০০ কোটি টাকা।

রাঘব বোয়াল এসব প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে পর্যাপ্ত ভ্যাট আদায় করতে সম্প্রতি নির্দেশনা দিয়েছেন উচ্চ আদালত। ব্যারিস্টার এ এম মাসুম, আইনজীবি, সুপ্রিম কোর্ট প্রায় দশ বছর ধরে বাংলাদেশে ব্যবসা করলেও এসব প্রতিষ্ঠানগুলোর কোন অফিস নেই এদেশে। কয়েকটি সিঙ্গাপুরে অফিস খুলে ব্যবসা করছে বাংলাদেশে। সম্প্রতি সরকারের চাপের পর লিয়াজো অফিস খুলেছে ফেসবুক। তবে অন্যরা এখনও উদাসিন।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের এই সদস্য বলছেন, অফিস না থাকায় তাদেরকে জবাবদিতিতার মধ্যেও আনা যাচ্ছেনা। তবে কর আদায়ে তৎপর রয়েছে বলে দাবি তার। আলমগীর, সদস্য প্রযুক্তির পরিবর্তনের সাথে প্রতিনিয়ত এনবিআরকে মানিয়ে চলার তাগিদ দিচ্ছেন সংস্থার সাবেক এই চেয়ারম্যান।

ড. আবদুল মজিদ বেশিরভাগ কোম্পানী যুক্তরাষ্ট্রের হওয়ায় সরকারকে সেই দেশের সরকারের সাথে আলোচনা করার তাগিদও দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।  

আরও পড়ুন: 


মাদরাসা থেকে বেরিয়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর

চার সমাজের চার শিল্পীর ডিজিটাল ফলোয়ারের সমীক্ষা

ঘন কুয়াশার সঙ্গে ঝিরঝির বৃষ্টি শুরু

যদি ভাবেন অনেক শক্তি হয়ে গেছে সে ধারণা ভুল


news24bd.tv কামরুল