রেমিট্যান্স দিয়ে আলাদা তহবিল গঠনের চিন্তা

সুলতান আহমেদ

প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স দিয়ে আলাদা তহবিল গঠনের চিন্তা করছে সরকার। যেখানে প্রবাসীদের জন্য থাকবে সহজ ও লাভজনক বিনিয়োগের সুযোগ। পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের জানান, সারাজীবন কষ্ট করে যাতে শেষ জীবনে লাভজনক বিনিয়োগের সুফল পেতে পারেন প্রবাসীরা সেই চেষ্টা করছে সরকার।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রেমিট্যান্স লাভজনক খাতে বিনিয়োগ হলে গতি বাড়বে অর্থনীতির।

 

করোনা মহামারি এক প্রকার স্থবির করে দিয়েছে বিশ্বের বড় বড় দেশের অর্থনীতি। মাঝখানে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও দ্বিতীয় ধাক্কা আবারও উদ্বেগে ফেলছে অর্থনীতিকে। তবে এসব উদ্বেগের ছাপ পড়েনি বাংলাদেশের খেটে খাওয়া প্রবাসীদের কর্ম উদ্যমে। তাই করোনার মধ্যেও তাদের পাঠানো রেমিট্যান্স জন্ম দিচ্ছে নতুন নতুন রেকর্ডের।

প্রায় ১ কোটি প্রবাসীর শ্রমে ঘামে পাঠানো রেমিট্যান্সে ফুরফুরে এখন দেশের অর্থনীতি। কেন্দ্রিয় ব্যাংকের হিসেব বলছে, নভেম্বর মাসে প্রবাসীরা মোট রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে ২০৮ কোটি ডলার।

সব মিলে চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১ হাজার ৯০ কোটি ৪৪ হাজার ডলার। গত বছর থেকে প্রবৃদ্ধি ৪১ শতাংশ। একদিকে বাড়তি রেমিট্যান্স অন্যদিকে আমদানি কম থাকায় রির্জাভ ছাড়িয়েছে ৪২ বিলিয়ন ডলারের ঘর।


করোনায় মারা গেলেন সাবেক বস্ত্রমন্ত্রী আ খ ম জাহাঙ্গীর

দেশে করোনায় প্রাণ গেল আরও ১৯ জনের

সোয়া সাতটায় আবাহনী-মোহামেডান লড়াই

ইসির বিরুদ্ধে ৪২ নাগরিকের অভিযোগ ভিত্তিহীন ও অসত্য: সিইসি


তবে এত পরিমান অর্থ পাঠানোর পরও বেশিরভাগ ব্যবহার হচ্ছে ব্যক্তিগত খরচে। হিসেবে উঠে এসেছে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের প্রায় ৬৮ ভাগ খরচ হয় গৃহস্থালির কাজে।  

কর্মক্ষম মানুষটি বাইরে থাকায় বিনিয়োগও হচ্ছে না এই অর্থ। তাই সরকারের চিন্তা আলাদা তহবিল করে প্রবাসীদের বিনিয়োগে উৎসাহ দেয়া। এই তথ্য জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী  এম এ মান্নান।  তবে করোনার সময়ে যারা দেশে চলে এসেছেন তাদের জন্য দেশের অভ্যন্তরে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার তাগিদ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

news24bd.tv নাজিম