একাত্তরে মহান মুক্তিযোদ্ধের সময় পাকিস্তানের সেনাদের অবর্ণীয় নির্যাতনের স্বীকার হন নাটোরের লালপুরের রোকেয়া বিবি। একজন নারী হিসেবে অমূল্য ত্যাগ স্বীকার করেন তিনি। কিন্তু আজও একাত্তরের নির্যাতিতা নারী হিসেবে এখনো মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পায়নি তিনি।
এ বিষেয়ে আবেদন করছেন তবে স্থানীয় প্রসাশনের উদাসীনতার স্বীকার হন তিনি।
১৯৭১ সালে ২০ শে জুলাই নাটোরের লালপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামে অর্তিকত হানা দেয় পাকিস্তানের সেনা ও তাদের দোসর রাজাকাররা।
আরও পড়ুন: ইন্টারপোলের মাধ্যমে বাংলাদেশের ফাঁসির আসামি ভারতে ধরা
‘৯ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ থেকে ঘণ্টা বাজাতে হবে’
উপজেলা র্নিবাহী অফিসার বরাবর আবেদন করেন তিনি । তবে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি মেলেনি রোকেয়া বিবির। স্থানীয় সংসদ সদস্য সম্প্রতি একটি ঘরের ব্যবস্থা করে দিলেও রোকেয়া বিবির স্বীকৃতি মেলাটা দুর্ভোগ মনে করেন তিনি।
একাত্তরের লাখো নির্যাতিতা নারী তাদের অমূল্য ত্যাগ স্বীকার করেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের আগেই নির্যাতিতা রোকেয়া বিবির মুক্তিযোদ্ধো হিসেবে স্বীকৃতি চান তাঁর শুভাকাঙ্খীরা। এবিষয়ে রোকেয়া বিবি তাঁর কথা বলতে গিয়ে শুধু চোখের জল ঝরতে দেখা যায় তাঁর। কোন কথায় বলতে পারেনি তিনি।
এবিষয়ে রোকেয়া বিবির ভাই পানি ঝরা চোখে জানান, মুক্তিযোদ্ধ নিয়ে গবেষণামূলক বিভিন্ন লেখায় রোকেয়ার নির্যাতনের কথা উঠে এসেছে । তবুও মুক্তিযোদ্ধো হিসেবে স্বীকৃতি মেলেনি রোকেয়া বিবির।
লালপুর উপজেলা র্নিবাহী অফিসার উম্মুল বানীন দ্যূতি বলেন, তার আবেদন পেয়েছি। বিষয়টি উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, রোকেয়া বিবি অনেক কষ্টে দিন অতিবাহিত করছেন জেনে স্থানীয় সংসদ সদস্যর সুপারিশে তাকে
একটি ঘরের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে ।
নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনের সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল বলেন, ইতিমধ্যে তাকে একটি বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধো হিসেবে তাঁর নামের যেন তালিকা হয় এজন্য সংসদ সদস্য হিসেবে আমার যা করার তা আমি করব। আশাকরি মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়ে রাষ্ট্রীয় সকল সুবিধা পাবেন তিনি এটাই প্রত্যাশা করি।
news24bd.tv তৌহিদ
