ব্রিটেন-ইউরোপীয় ইউনিয়নের ৪৭ বছরের সম্পর্কের ইতি

ব্রিটেন-ইউরোপীয় ইউনিয়নের ৪৭ বছরের সম্পর্কের ইতি

Other

৩১ ডিসেম্বর রাত ১১টার পর আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হলো ব্রিটেন ও ইউরোপিয় ইউনিয়নের দীর্ঘ ৪৭ বছরের সম্পর্ক। বৃহস্পতিবার সকালে রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ চুক্তিতে সই করেন।  

ফলে ব্রেক্সিট চুক্তিটি ব্রিটেনে আইনে পরিণত হয়। আর ব্রেক্সিটের মধ্য দিয়ে বাণিজ্য নীতি ছাড়াও পরিবর্তন ঘটবে আরো বেশকিছু ক্ষেত্রে।

এদিকে ছেলেকে সবসময় সমর্থন দিয়ে আসা বরিস জনসনের বাবা ফ্রান্সের নাগরিকত্ব চেয়ে বসেছেন।

নানা জল্পনা কল্পনার পর অবশেষে চূড়ান্তভাবে কার্যকর হলো ব্রেক্সিট পরবর্তী বাণিজ্য চুক্তি। ব্রিটিশ স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাত ১১ টা থেকে ইইউ’র বাণিজ্য নীতি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বেরিয়ে গেলো যুক্তরাজ্য। লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টারে রাত ১১ টায় বিদায়ে বিগ বেনে চূড়ান্ত বিদায় ঘণ্টা বেজে উঠে।

এর আগে বুধবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ৫২১ ভোট পেয়ে পাশ হয় ব্রেক্সিটের বাণিজ্য চুক্তির বিলটি। এরপর বৃহস্পতিবার সকালেই রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ চুক্তিতে সই করার ফলে ব্রেক্সিট চুক্তিটি ব্রিটেনে আইনে পরিণত হয়। আর এ আইনের আওতায় নতুন বছরে আলাদা বাজার গড়ে তুলবে ইইউ ও যুক্তরাজ্য। বন্ধ হয়ে যাবে অবাধ চলাচল। ইউরোপিয় পার্লামেন্টে সদস্যপদ হারানো থেকে শুরু করে পাল্টে যাবে বৃটেনের পাসপোর্টের রঙ, সেই সঙ্গে চালু হবে বিশেষ ব্রেক্সিট কয়েন।


আরও পড়ুন: ফাইজারের টিকা তালিকাভুক্ত করলো বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা


এ বিষয়ে এক ভিডিও বার্তায় সবাইকে নতুন বছর আর ব্রেক্সিট কারযকরের শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।

বরিস  জনসন  বলেন,  ব্রেক্সিটের মধ্য দিয়ে ব্রিটেনের ভবিষ্যত এখন সুদৃঢ়ভাবে আমাদের হাতেই রইলো। আর যেগুলো আমরা দৈনন্দিন জীবনে করতাম, কিন্তু অতীতে হারিয়ে ফেলেছি বলে মনে করছি; আমি বিশ্বাস করি, ২০২১ সালে আমরা সেগুলোই সর্বোপরী আবার করতে পারবো।

অন্যদিকে বরিস জনসনের বাবা স্ট্যানলি জনসন ফ্রান্সের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেছেন। বৃহস্পতিবার স্ট্যানলি জানান, ব্রেক্সিটের পর ইইউ সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে তিনি ফ্রান্সের পাসপোর্টের জন্য আবেদনের প্রক্রিয়াধীনে আছেন। স্ট্যানলি জনসন ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সাবেক সদস্য। এ বিষয়ে কিছুটা সমালোচনার জের ধরে স্ট্যানলি জানান, ফ্রান্সের সঙ্গে দৃঢ় পারিবারিক সম্পর্কের কারণেই তিনি ফরাসি নাগরিক হতে চান।

news24bd.tv আহমেদ