মোবাইল আসল কি নকল যেভাবে যাছাই করবেন

মোবাইল আসল কি নকল যেভাবে যাছাই করবেন

অনলাইন ডেস্ক

এখন বাজারে অবৈধ মোবাইল যত্রতত্র পাওয়া যাচ্ছে। তাই এ নিয়ে নতুন মোবাইল ক্রেতারা চিন্তিত। তবে অবৈধ পথে দেশে আসা, ক্লোন বা চুরি করা হ্যান্ডসেটের দিন শেষ হতে যাচ্ছে।

চালু হতে যাচ্ছে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্টার (এনইআইআর)।

ফলে অবৈধ হ্যান্ডসেট দিয়ে দেশের মোবাইল নেটওয়ার্কে আর যোগাযোগ করা যাবে না। এনইআইআর চালুর পরে এসব মোবাইল একেবারেই কোনো মোবাইল ফোন অপারেটরের সিম চালু করা না।

মোবাইল ফোনের বৈধতা যাচাইয়ের পদ্ধতি
মোবাইল ফোন বৈধ না অবৈধ তা দেখেতে বিটিআরসি সঠিক আইএমইআই যাচাই পদ্ধতি রয়েছে। এজন্য একটা ডাটাবেজ তৈরি করা হয়েছে, যাকে ডাকা হচ্ছে এনইআইআর নামে।

এখন অবকাঠামো তৈরির কাজ চলছে। এরই মধ্যে প্রাথমিক যে ডাটাবেজ তৈরি হয়েছে সেটা ব্যবহার করা যাচ্ছে। এখন যেকেউ মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে KYD টাইপ করে স্পেস দিয়ে মোবাইলের ১৫ ডিজিটের আইএমইআই নম্বর লিখে সেটি ১৬০০২ নম্বরে পাঠালে ফিরতি এসএমএসে আইএমইআই নম্বরটি বিটিআরসির ডাটাবেজে সংরক্ষিত রয়েছে কি না তা জানা যাবে। ফিরতি মেসেজে ডাটাবেজে সংরক্ষণের তথ্য থাকলে সেটি হবে বৈধ ফোন।

জানা গেলো, ২০১৯ ও ২০২০ সালে দেশে তৈরি ও আমদানি হওয়া প্রায় ১১ কোটি ৮০ লাখ মোবাইলের আইএমইআই ডাটাবেজে সংরক্ষিত আছে। ২০২১ সাল পরবর্তী যেসব মোবাইল তৈরি হবে এবং আমদানি হবে সেসবের আইএমইআই ডাটাবেজে যুক্ত হয়ে যাবে। ২০১৮ সালের আগের মোবাইলগুলোর আইএমইআই নম্বর এনইআইআর (ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার) থেকে ‘ওকে’ হয়ে সরাসরি আইএমইআই ডাটাবেজে চলে যাবে। সঙ্গে সঙ্গে মোবাইল সেটগুলোও নিবন্ধিত হয়ে যাবে। এনইআইআর চালু করা হলে কোনও সিমকার্ড অবৈধ মোবাইল সেটে (যেগুলোর আইএমইআই নম্বর ডাটাবেজে নেই) চালু হবে না।

বিটিআরসির ডাটাবেজে আইএমইআই নম্বর থাকলে বুঝতে হবে হ্যান্ডসেটটি বৈধ। আইএমইআই নম্বর নতুন হ্যান্ডসেটের মোড়কেই দেখা যাবে। সে ক্ষেত্রে * # /, . ইত্যাদি বিশেষ চিহ্ন বাদে শুধু ১৫টি নম্বর নিতে হবে বিটিআরসিতে এসএমএসের জন্য। ব্যবহার করা হ্যান্ডসেটে * # ০ ৬ # ডায়াল করেই জেনে নেয়া যায় মোবাইল ফোনে ব্যবহৃত ১৫ ডিজিটের আইএমইআই নম্বর।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, মোবাইল ফোনের আসল নকল চেনার জন্য মূলত দুটি ডাটাবেজ কাজ করবে। একটি টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির তৈরি এনইআইআর ডাটাবেজ, অন্যটি আইএমইআই ডাটাবেজ। এনইআইআর ডাটাবেজে সংযুক্ত থাকবে মোবাইল অপারেটররা (এনইআইআর), অন্যদিকে আরও থাকবে মোবাইল উৎপাদক ও আমদানিকারকরা (এনএআইডি)। এই দুটি পক্ষের মাধ্যমেও এনইআইআর মোবাইলের শুদ্ধতা যাচাই করতে গিয়ে কোনও সমস্যা পেলে মোবাইলগুলো ‘হোয়াইট’ থেকে ‘গ্রে’তে রাখা হবে। এসময় গ্রাহকদের নির্দিষ্ট সময় দেওয়া হবে। ওই সময়ের মধ্যে গ্রাহক তার মোবাইলের শুদ্ধতা যাচাইয়ে ব্যর্থ হলে হ্যান্ডসেটটি ব্ল্যাক লিস্টে ফেলে স্থায়ীভাবে ব্লক করার নির্দেশনা আসতে পারে বলে জানা গেছে।


আমাদের হামলায় মার্কিন রণতরী সাবমেরিনের মতো তলিয়ে যাবে: হুঁশিয়ারি ইরানের

শীতে হাত-পায়ের কোমলতা ধরে রাখতে যা করবেন

আগামী বছরের জুনের মধ্যে চার মেগাপ্রকল্প উদ্বোধন: কাদের


 

news24bd.tv/আলী