রংপুর বিভাগে করোনা সংক্রমণ বেড়েছে: চার দিনে তিনজনের মৃত্যু

রংপুর বিভাগে করোনা সংক্রমণ বেড়েছে: চার দিনে তিনজনের মৃত্যু

Other

রংপুরসহ বিভাগের ৮ জেলাতেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ফের বেড়েছে। গত চার দিনে করোনায় তিন জন মারা গেছেন। অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ জন। এর মধ্যে সাত জনই রংপুর নগরীর বাসিন্দা।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক আব্দুল আহাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, স্বাস্থ্যবিধি না মানা, মাস্ক না পরাসহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত চার দিনে তিন জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এর মধ্যে নীলফামারীতে একজন এবং বাকি দু’জনের বাড়ি রংপুর নগরীতে।

এ নিয়ে রংপুর বিভাগে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩১১ জন।

মোট ১৫ হাজার ৯৭৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে রংপুর বিভাগের ৮ জেলায়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দিনাজপুরে, আক্রান্তের সংখ্যা চার হাজার ৭৪৭জন। এর পরেই রয়েছে রংপুর জেলা। এখানে আক্রান্তের সংখ্যা চার হাজার ৪২ জন। এছাড়া পঞ্চগড়ে ৯৯৩ জন, নীলফামারীতে এক হাজার ৩৬৩ জন, লালমনিরহাটে ৯৫৪ জন, কুড়িগ্রামে এক হাজার ৬২৬ জন এবং গাইবান্ধা জেলায় এক হাজার ৪৭৪ জন করোনা আক্রান্তের তথ্য পাওয়া গেছে।


সিরাজগঞ্জে ঘাতক ট্রাকচাপায় গেল তিন প্রাণ

চট্টগ্রামে হোটেলে বিদেশি নাগরিকের মরদেহ

বিমান পড়া মেলা

দৈনিক ২০০০ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার হুমকি পেয়ে ‘ভয়ে ইসরাইল’

নরসিংদীতে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে গৃহহীনরা পেলেন ঘর


রংপুর মেডিক্যাল কলেজ ও দিনাজপুর মেডিকেল কলেজে করোনা পরীক্ষার জন্য দুটি পিসিআর ল্যাব রয়েছে। এক মাস আগেও করোনা সংক্রমণের হার একেবারে কমে গিয়েছিল। সর্বশেষ ১৬ ও ২০ ফেব্রুয়ারি টেস্টে একজনও করোনা পজিটিভ আসেনি। ১ মার্চ থেকে হঠাৎ করে করোনা সংক্রমণের হার বাড়তে শুরু করে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে। ওই দিন দুইজন, এরপর থেকে প্রতিদিনই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।

রংপুরের সিভিল সার্জন ডা. হিরম্ব কুমার রায় জানান, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিপূর্ণ জেলা হওয়া সত্বেও নগরীসহ পুরো জেলায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়ে উদাসীনতা দেখা গেছে। দল বেধে হোটেলে বসে থাকা, হাট-বাজার করা, কোনও কারণ ছাড়াই নগরীতে ঘুরে বেড়ানো বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়া মাস্ক ব্যবহারের হার শহরে কিছুটা থাকলেও গ্রামে তা নেই বললেই চলে।

এ জন্য করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে কঠোর অবস্থানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক আব্দুল আহাদ বলেন, করোনা প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, মুখে মাস্ক ব্যবহার করার বিষয় মানছেন না বিভাগের অধিকাংশ মানুষ। ফলে হঠাৎ করে করোনা সংক্রমণের হার বাড়ছে। এটা প্রতিরোধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানান তিনি।

news24bd.tv তৌহিদ