প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে টুঙ্গিপাড়ার কোটালিপাড়ায় সমাবেশ স্থলের পাশে বোমা পুঁতে রাখার ঘটনায় রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় ১৪ আসামীকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছে আদালত।
ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান দুপুরের এই রায় ঘোষণা করেন। রায়ে বাকী ৪ আসামীকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছেন আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি আবু আব্দুল্লাহ ভুইয়া বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে কোটালিপাড়ায় হেলিকপ্টার অবতরণের স্থানে বোমা পুঁতে রাখার অভিযোগে দুটি মামলা হয়, যার মধ্যে একটি হামলার পরিকল্পনাকারী হিসেবে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা।
মামলার অভিযোগ বলা হয়, ২০০০ সালের ২১ জুলাই গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ায় শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ কলেজের মাঠে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশস্থলের পাশ থেকে ৭৬ কেজি ওজনের একটি বোমা উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন
বিসিএস পরীক্ষা দেয়ার অনুমতি না দেয়ায় এসআই হাসানের আত্মহত্যা!
জাতীয় স্মৃতিসৌধে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
সৎ মেয়ের সঙ্গে যৌন কেলেঙ্কারী, স্বামীর ‘বিশেষ অঙ্গ’ কাটলেন স্ত্রী
নিন্দুকদের যন্ত্রণা বাড়িয়ে দিলেন কঙ্গনা (ভিডিও)
২০০১ সালের ১৫ নভেম্বর তৎকালীন সিআইডির এএসপি আব্দুল কাহার আকন্দ মুফতি হান্নানসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর ২০০৪ সালের ২১ নভেম্বর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। বিচার চলার বিভিন্ন সময়ে আদালত মোট ৫০ সাক্ষীর মধ্যে ৩৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।
হরকাতুল জিহাদের শীর্ষনেতা মুফতি আবদুল হান্নান এই মামলায় মূল আসামি ছিলেন। কিন্তু অন্য মামলায় তার ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় এই মামলার রায়ে তার নাম বাদ দেয়া হয়েছে। মামলার ১৪ আসামির মধ্যে মফিজুর রহমান, মাহমুদ আজহার, রাশেদুজ্জামান, তারেক হোসেন, আবদুল ওয়াদুদ মোল্লা, সারোয়ার হোসেন মোল্লা ও আনিসুল ইসলাম কারাগারে রয়েছেন।
পলাতক রয়েছেন আজিজুল হক, লোকমান, ইউসুফ শেখ মো. এনামুল হক, মোছাহেব হাসান। আর জামিনে রয়েছেন মাওলানা আমিরুল ইসলাম ও মাওলানা রফিকুল ইসলাম। উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় বোমা পুঁতে রেখে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার মামলায় বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ১০ আসামির সাজা বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। রায়ে যাবজ্জীবন দণ্ডিত এক আসামি ও ১৪ বছর করে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামির মধ্যে একজনকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। ২০১৭ সালের ২০ আগস্ট ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক মমতাজ বেগম ১০ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় দেন। এছাড়া চার আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়।
news24bd.tv আহমেদ