স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমিককে খুন করে নদীতে ভাসিয়ে দেন স্বামী

জহির রিমন ও মিম। ছবি সংগৃহিত

স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমিককে খুন করে নদীতে ভাসিয়ে দেন স্বামী

অনলাইন ডেস্ক

শুভর স্ত্রী মিমের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক ছিলো জহির রায়হানের। অনৈতিক এই সম্পর্ক মেনে নিতে না পারায় শুভ কৌশলে খুন করেন জহিরকে। পুলিশের তদেন্ত উঠে আসে এমন তথ্য।

পুলিশ জানিয়েছে, ৭ মার্চ রাত সাড়ে ১০টায় রিমনকে নিয়ে সিএনজিচালিত অটোরকিশাতে করে শুভ যায় কেরানীগঞ্জের আটিবাজারে।

সেখানে শুভ ও জহির পৌঁছায় রাত সাড়ে ১১টার দিকে। নদীর পাড়ে গল্প করতে করতে শুভ রিমনের কাছে জানতে চায় তার স্ত্রী মীমের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের কথা।

জহিরের সাথে মিমের অনৈতিক সম্পর্কের কথা স্বীকার করে ক্ষমা চায় সে। কিন্তু শুভে এরপর কিছু না বলে সুযোগ বুঝে হাতুড়ি বের করে রিমনের মাথায় এলোপাতাড়ি আঘাত করতে থাকে।

  হাতুড়ির আঘাতে লুটিয়ে পড়ে রিমন। এরপর নিথর দেহ বুড়িগঙ্গায় ভাসিয়ে দেয় শুভ।

ডিএমপির লালবাগ বিভাগের পুলিশের উপকমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার  এ  বিষয়ে বলেন, পরকীয়ার জেরেই এই হত্যাকাণ্ড। শুভ তার ক্ষোভ ও আক্রোশ থেকে পিটিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে। অনেক সময় নিয়ে তাকে (রিমন) পেটানোর পর যখন দেখেছে আর নড়ছে না তখন পানি ফেলে দেয় সে। রাত ১২টা থেকে সাড়ে ১টার দিকে এটি হতে পারে।  

শুভ পুলিশকে জানায় তার স্ত্রীর পাওনা টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় রিমনের কাছ থেকে মোবাইলটি ছিনিয়ে নিয়েছিল সে। তার স্ত্রী মিমের সঙ্গে রিমনের অনৈতিক সম্পর্কের কথাও পুলিশকে জানায় সে। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে রিমনকে খুন করার কথা স্বীকার করে শুভ। ধীরে ধীরে খুলতে থাকে রহস্যের জট।


অভাবে গরুর বদলে লাঙ্গল টানছেন দুই বৃদ্ধ

ছোট ভাইয়ের মৃত্যুর পর তার স্ত্রীকে অন্তঃসত্ত্বা করলো ভাসুর!

উত্তাপের মধ্যে শাহরুখের পাশাপাশি সাকিব!

সাধ্যের মধ্যে ৮ জিবি র‍্যামের রেডমি ফোন


ঘটনার একদিন পর সাভারের ভাকুর্তা এলাকার শৈলমাছি ঘাট থেকে একজনের মরদেহ উদ্ধার করে নৌপুলিশ। বর্তমানে মরদেহ রয়েছে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলের মর্গে। রিমনের আত্মীয়স্বজন মর্গে গিয়ে শনাক্ত করে মরদেহ। ৭ মার্চ কামরাঙ্গীরচর থেকে নিখোঁজ হন জহির রিমন। তার বড় ভাই থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। রিমনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি উদ্ধার হয় কাফরুল থেকে। মোবাইলটির সূত্র ধরে পুলিশ আটক করে শুভ নামের এক ব্যক্তিকে।

তারপরই জট খুলে এই হত্যাকাণ্ডের।

news24bd.tv/আলী